মুক্তিকন্ঠ

ভয়েস অফ ফ্রিডম ফাইটার ১৯৭১

চন্দ্রগঞ্জে মাদকাসক্ত উশৃঙ্খল ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ করলেন বাবা-মা

মাদকাসক্ত বনি ইয়ামিন সোহাগ

শেয়ার করুন

মুক্তিকন্ঠ ডেস্কঃ

বাবা-মা বৃদ্ধ বয়সে তাদের একমাত্র সাহারা বা আশ্রয়স্থল মনে করে তাদের সন্তানদের। কিন্তু সেই সন্তান যদি হয় বাবা-মায়ের জীবনের অশান্তির কারন তাহলে বাবা-মা সেই অশান্তি বলবে কার কাছে। শেষ পরিণতি সন্তানের হাতে লাঞ্ছিত হওয়া।

বলছি লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন দিঘলী ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের হাওলাদার বাড়ির আজিজ উল্যা মাষ্টার ও তার স্ত্রী জাহানারা বেগম রহিমার কথা। মানুষ গড়ার এই কারিগর জীবনের সায়ান্নে এসে চরম অপমানিত ও লাঞ্ছিত হলেন নিজেরই আপন মাদকাসক্ত ছেলে বনি ইয়ামিন সোহাগ (৩০) কাছে।

গত (২৪ মে) সোমবার সকাল ৯টার দিকে অভিযুক্ত বনি ইয়ামিন সোহাগ আজিজ উল্যা মাষ্টারের বসত ঘরে এসে মাদক ক্রয়ের জন্য টাকা দাবী করে । টাকা না দিলে এক পর্যায়ে বনি ইয়ামিন তার বাবা আজিজ উল্যা মাষ্টার ও তার মা জাহানারা বেগম রহিমাকে কিল ঘুষি মারা আরম্ভ করে। এসময় অভিযুক্ত ইয়ামিনের হাতে ১টি ধারালো চুরি ছিল, সেই চুরি দিয়া ইয়ামিন তার ছোট বোন নাছরিন সুলতানাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

পরবর্তীতে পরিস্থিতি বেগতিক দেকে আজিজ উল্যা মাষ্টার বাদী হয়ে বৃহস্প্রতিবার (১০ জুন) ছেলে নামে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা করে। চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সাথে সাথে আসামী বনি ইয়ামিন সোহাগকে গ্রেফতার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পায়।

উল্লেখ্য বনি ইয়ামিন সোহাগ নোয়াখালী সরকারী কলেজ থেকে ইংরেজী অনার্স পাশ করা ছাত্র। সমাজের খারাপ সঙ্গের কারনে মাদকের করাল থাবায় তার জীবনকে করে হিংস্র ও বিবেকবিবর্জিত। তাকে সংশোধনের জন্য তার শিক্ষক বাবা তাকে মাদকাসক্ত পুরর্বাসন কেন্দ্রেও প্রেরণ করে। কিন্তু কোন ভাবেই ছেলেকে ভালো করে তুলতে পারেনি। সবশেষ আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হোন আজিজ উল্যা মাষ্টার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে ফজলুল হক জানান, মামলা হওয়ার সাথে সাথে আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করি। তিনি আরো বলেন মাদক সমাজের জন্য হুমকি স্বরূপ। মাদকের ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না আর পিতা মাতার সাথে যদি কেউ অসদাচরন করে এবং থানায় যদি কোন অভিযোগ হয় তাহলে সেই সন্তানকেও কোনভাবে ছাড় দেওয়া হবে না।


শেয়ার করুন