মুক্তিকন্ঠ ডেস্কঃ
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন চন্দ্রগঞ্জ বাজারে আকস্মিক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন যৌথভাবে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রাজিব হোসেন ও মোঃ মকবুল হোসেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ও ব্যাটালিয়ন আনসার এর একটি চৌকস দল।
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের ২য় ঢেউ প্রতিরোধে তৎপর লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন। লক্ষ্মীপুর জেলায় আক্রান্তের হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। লক্ষ্মীপুর জেলার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোছাইন আকন্দ এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় লক্ষ্মীপুরের দায়িত্বশীল ম্যাজিস্ট্রেটগণ অফ আওয়ার এবং অন আওয়ার সব সময় করোনা প্রতিরোধে সাধারন জনগনকে সচেতন এবং সতর্ক করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায় (১লা আগষ্ট) রবিবার দুপুর ২টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ বাজারের বর্তমান ভয়াবহ পরিস্থিতি কথা জানতে পেরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে আকস্মাৎ দুইজন ম্যাজিস্ট্রেটের সমম্বয়ে একটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় অনৈতিক ভাবে দোকান খোলা ও মাস্ক পরিধান না করার জন্য ৫টি দোকানে ও এক ব্যক্তিকে অর্থদন্ড করা হয়। দোকানগুলো হলো মেসার্স আলম ট্রেডার্স ৫০০, মঞ্জুশ্রী শিল্পালয় ৫০০, এ কে এন্টার প্রাইজ ১০০০, বিজয় মেডিকেল ৫০০, যমুনা ইলেকট্রনিক্স ১০০০ এবং জামাল হোসেনে নামে এক ব্যক্তিকে ২০০ টাকাসহ মোট ৩৭০০টাকা অর্থদন্ড করা হয়।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রাজিব হোসেন বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় মান্যবর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশক্রমে প্রতিটি উপজেলায় প্রান্তিক পর্যায়ে সাধারন মানুষকে সচেতন ও সতর্ক করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়াও তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরিধান করে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলতে বলেন এবং জেলা প্রশাসকের করোনা সংক্রান্ত নির্দেশনাগুলো বার বার সকলকে স্মরণ করিয়ে দেন।
আরও পড়ুন
লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতার বাড়িতে অগ্নি সংযোগের অভিযোগ: থানায় মামলা
লক্ষ্মীপুরে খালে ভাসমান যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার
রায় প্রত্যাখ্যান করে রফিকুলের মুক্তি চাইলেন বিনিয়োগকারীরা