মুক্তিকন্ঠ

ভয়েস অফ ফ্রিডম ফাইটার ১৯৭১

ইউপি নির্বাচন আসন্ন। ঘোলাপানিতে মাছ শিকারে নেমেছে করপাড়ার সেই বিতর্কিত সিন্ডিকেট

শেয়ার করুন

মুক্তিকন্ঠ ডেস্কঃ

ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের ২৮ জুলাই। করোনার কারণে ভোট পিছালেও বিগত দুই ইউপি নির্বাচনের পূর্ব সময়ের মতো পিছিয়ে নেই বর্তমান চেয়ারম্যান মজিবুল হক মজিবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা সেই চিহৃিত ও বিতর্কিত সিন্ডিকেট। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পরিষদের মেয়াদের শেষ পর্যন্ত পরিষদ থেকে সকল সুবিধা নিয়ে এবার নতুন চেয়ারম্যান বানানোর মিশন শুরু করেছে করপাড়ার আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী সিন্ডিকেটের আত্মীয় স্বজনরা।
জানা যায়, করপাড়া ইউনিয়ম পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বেল্লাল হোসেন (চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহিদ মীর্জার ভগ্নিপতি), করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা লকিয়ত উল্যা (চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজাউল করিম সেলিমের পিতা), ৪,৫,৬ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও জাতীয়তাবাদী যুবদল নেতা জুয়েলের স্ত্রী মরিয়ম আক্তার লাইজু, করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহ আলম (চেয়ারম্যান প্রার্থী তছলিম হোসেনের আত্মীয়)- এই চারজনসহ আরো চার জন ইউপি সদস্যকে জেলা পরিষদ থেকে বরাদ্ধের নামে স্বাক্ষর নিয়ে জেলা প্রশাসকের বরাবরে অসত্য তথ্য সম্বলিত আবেদন করে ৩১ আগষ্ট ২০২১ তারিখে।
উক্ত অসত্য আবেদনকে পুঁজি করে মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারের সুদূরপ্রসারী মিশন নিয়ে কাজ করা সিন্ডিকেট তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কতটুকু সফল হবে তা সময়ই বলে দিবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন করপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি মোঃ নুরুল আমিন। কেননা তর্কিত মুক্তিযোদ্ধা ইউপি সদস্য লকিয়ত উল্যা ও বালু খেকো ইউপি সদস্য বেল্লাল হোসেনদের গ্রহনযোগ্যতা বিগত দিনের মতো বর্তমানেও প্রশ্নবিদ্ধ বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে। করপাড়া ইউনিয়ম পরিষদ চেয়ারম্যান ও রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য মজিবুল হক মজিব বলেন, মেয়াদ শেষান্তে ইউপি নির্বাচনের পূর্বে এমন সিন্ডিকেট করপাড়ায় নতুন নয়। বিগত দুই ইউপি নির্বাচনের পূর্বেও এমন সিন্ডিকেট তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
প্রশাসনের নিকট সিন্ডিকেটের এমন আবেদন ও মিডিয়ার তৎপরতা বিষয়ে করপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন- পুরান বোতলে নতুন মদ নিয়ে আর কত খেলবে করপাড়াকে নরকপূরী বানানো নষ্ট সিন্ডিকেটের সদস্যরা? এই খেলা বন্ধ করে দলীয় প্রতীক নৌকা প্রাপ্তির জন্য জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগসহ তৃণমূল নেতৃবৃন্দের উপর আস্থা রাখার জন্য তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসকের বরাবরে আবেদন কাগজে স্বাক্ষর থাকা
১,২,৩ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড ইউপি সদস্য শাহিনুর বেগম, ৭,৮,৯ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মিনু বেগম, ৬ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম ও ৮ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ছবি উল্যা বলেন, আমাদেরকে জেলা পরিষদ থেকে বরাদ্ধের নামে একটি আবেদনে স্বাক্ষর করার জন্য বললে আমরা অনুদানের আবেদন কাগজে স্বাক্ষর করি। পরবর্তীতে জানতে পারি- এটা অনুদানের আবেদন ছিলো না। এটাকে জেলা প্রশাসকের বরাবরে ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুল হক মজিবের বিরুদ্ধে আমাদের আবেদন বলে চালিয়ে দেওয়া হয়, যা দুঃখজনক।
জেলা প্রশাসকের বরাবরে আবেদন কারীদের অন্যতম ইউপি সদস্য ও সম্প্রতি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিজের ভোগকৃত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ফেরত দেওয়ার আদেশ পাওয়া লকিয়ত উল্যা বলেন,তার সন্মানী ভাতা নিয়মিত পরিশোধ করা হয় নাই। এ প্রসঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সুজন চন্দ্র দাস জানান,পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের বার্ষিক সন্মানী সরকারী খাত থেকে দেওয়া হয় ৫ লাখ ৭২ হাজার ৪ শত টাকা আর পরিষদের আয় থেকে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সন্মানী দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৬ শত টাকা। এছাড়া পরিষদের আয় থেকে বার্ষিক ব্যয় হয় প্রায় ২ লাখ টাকার অধিক । পরিষদের অবশ্যই খরচ হওয়া প্রায় ১০ লাখ টাকা আয় করতে হয় ট্যাক্স থেকে। তাই ১০ লাখ টাকা ট্যাক্স আদায়ে ২০% হারে কমিশন দিতে হলে পরিষদের মোট আয় করতে হয় ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু পরিষদের চলমান ব্যয় সংকুলানের পর ট্যাক্স মাধ্যমে আয়ের এমন বাস্তবতা না থাকায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ সদস্যদের সন্মানী ভাতা বাকী থাকাটা চেয়ারম্যান বা সচিবের ইচ্ছাকৃত নয় বলেও ইউপি সচিব জানিয়েছেন। ইউপি সচিব আরো বলেন, সদস্যদের সন্মানী শুধু বকেয়া নয় চেয়ারম্যান মহোদয়ের সন্মানীও বকেয়া রয়েছে।


শেয়ার করুন

আরও পড়তে পারেন..