মুক্তিকন্ঠ ডেস্কঃ
লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জে ফার্মেসীতে চিকিৎসার নিতে এসে ধর্ষিত হয়েছেন এক প্রবাসীর স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ৬নং লামচর ইউনিয়নের লামচর উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ফরিদ ফার্মেসীতে। পল্লী চিকিৎসক ফরিদ হোসেন লামচর গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির হারুনুর রশিদের ছেলে।
ধর্ষিতা গৃহবধু বৃহস্পতিবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করলে রামগঞ্জ থানা পুলিশ শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ওসি তদন্ত জহিরুল আলম, এসআই ওয়ালী উল্যাহ পল্লী চিকিৎসক ফরিদকে গ্রেপ্তার করে লক্ষ্মীপুর জেল হাজতে প্রেরণ করে।
অপরদিকে শুক্রবার সকালে ধর্ষিতা গৃগবধুকে ডাক্তারী পরীক্ষা-নিরীক্ষা জন্য লক্ষ্মীপুর জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লামচর গ্রামের দত্তের বাড়ির সৌদি প্রবাসী মনির হোসেনের স্ত্রী শাররিক অসুস্থতার কারণে পাশ্ববর্তী লামচর বাজারের ফরিদ ফার্মেসিতে যায়।
এ সময় পল্লী চিকিৎসক ইঞ্জেকশন দেওয়ার কথা বলে ফার্মেসীর ভিতরের একটি নির্জন কক্ষে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষিতা চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলে ফরিদ তাকে মুখ চেপে ধরে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তাৎক্ষনিক ওই গৃহবধু কাউকে কিছু না বলে লোক-লজ্জার ভয়ে বাড়িতে গিয়ে শশুর-শাশুড়ীসহ পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানায়।
ধর্ষিতা গৃহবধু জানান, প্রথম প্রথম ফার্মেসীতে গেলে ফরিদ আমার শরীরের বিভিন্নস্থানে হাত দেওয়ার চেষ্টা করলে আমি তাকে সতর্ক করলেও সে জোরপূর্বক বিগত কয়েকমাস থেকে আমাকে বেশ কয়েকবার আমাকে ধর্ষণ করে। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে আমি কাউকে কিছু বলিনি।
এব্যাপারে পল্লী চিকিৎসক ফরিদের ভাই টিপু সুলতান জানান,এটা একটা সাজানো নাটক।আমার ভাইকে ফাঁসাতে ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ডাক্তারী পরীক্ষা-নিরিক্ষার পরেই সত্য ঘটনা বের হয়ে আসবে।
রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান,গৃহবধুর দায়ের করা মামলার ভিত্তিতেই পল্লী চিকিৎসক ফরিদকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন
লক্ষ্মীপুরে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে নারীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার-২
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে অপহরনের ৬দিনেও উদ্ধার হয়নি স্কুল ছাত্রী