April 19, 2024

মুক্তিকন্ঠ

ভয়েস অফ ফ্রিডম ফাইটার ১৯৭১

লক্ষ্মীপুরে গ্রেপ্তারের ৩ ঘন্টা পর আসামীর মৃত্যু

শেয়ার করুন

মুক্তিকন্ঠ ডেস্কঃ

লক্ষ্মীপুর জেলার জেলা শহরে  ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী গ্রেপ্তারের ৩ঘন্টা পরে মারা যায়।
লক্ষ্মীপুর শহরে চেকের মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আবদুল কুদ্দুসকে গ্রেপ্তার করার তিন ঘণ্টা পর তার মৃত্যু হয়েছে। নিহত আবদুল কুদ্দুস মেঘনা রোডে ফার্মেসির ব্যবসা করতেন। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে ওই চেকের মামলায় গ্রেপ্তার করে সদর থানা পুলিশ। রাত ১১টার দিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে, থানা হাজতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজন ও পুলিশ। আবদুল কুদ্দুস স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।

আবদুল কুদ্দুস সদর উপজেলার রাধাপুর এলাকার মৃত আবদুল্লাহ চৌধুরীর ছেলে। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেঘনা রোডে পাশে হাসিম মঞ্জিলে সপরিবারে বসবাস করতেন।

সেখানেই তার একটি ওষুধের ফার্মেসি ছিল। এছাড়া একটি ওষুধ কোম্পানিতেও চাকরি করতেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, আবদুল কুদ্দুস ইফতারের পর মাগরিবের নামাজ শেষে ফার্মেসি খুলে বসেন। কিছুক্ষণ পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে সদর থানায় নিয়ে যায়।

পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানায়, ঢাকার ওয়ারী থানায় আবদুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে একটি চেক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। ওই মামলায় সদর থানা পুলিশ তাকে ফার্মেসি দোকান থেকে গ্রেপ্তার করে। খবর পেয়ে তার স্ত্রী নিগার সুলতানা স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. আল-আমিনকে নিয়ে থানায় যান। সেখানে আবদুল কুদ্দুস অসুস্থ হয়ে পড়লে তার স্ত্রী ও কাউন্সিলরসহ পুলিশ তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।

পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আল আমিন জানান, সন্ধ্যায় আবদুল কুদ্দুসকে আমার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে সদর থানায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তার স্ত্রী, পুলিশসহ আমি হাসপাতালে নিয়ে যাই। ভর্তির কয়েক ঘন্টা পর হাসপাতালে মারা যায় সে।

সদর হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা ডা. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আবদুল কুদ্দুস স্ট্রোক করেন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। কোন নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়নি বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
পুলিশ সুপার ড.এএইচএম কামরুজ্জামান বলেন, একটি চেক মামলায় কুদ্দুসকে গ্রেপ্তার করা হয়। থানায় নেওয়ার পর তিনি অসুস্থবোধ করলে তার স্ত্রী এবং স্থানীয় কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে পুলিশ তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।


শেয়ার করুন

আরও পড়তে পারেন..