মুক্তিকন্ঠ ডেস্কঃ
আবদুল কুদ্দুস সদর উপজেলার রাধাপুর এলাকার মৃত আবদুল্লাহ চৌধুরীর ছেলে। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেঘনা রোডে পাশে হাসিম মঞ্জিলে সপরিবারে বসবাস করতেন।
স্থানীয়রা জানান, আবদুল কুদ্দুস ইফতারের পর মাগরিবের নামাজ শেষে ফার্মেসি খুলে বসেন। কিছুক্ষণ পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে সদর থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানায়, ঢাকার ওয়ারী থানায় আবদুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে একটি চেক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। ওই মামলায় সদর থানা পুলিশ তাকে ফার্মেসি দোকান থেকে গ্রেপ্তার করে। খবর পেয়ে তার স্ত্রী নিগার সুলতানা স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর মো. আল-আমিনকে নিয়ে থানায় যান। সেখানে আবদুল কুদ্দুস অসুস্থ হয়ে পড়লে তার স্ত্রী ও কাউন্সিলরসহ পুলিশ তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আল আমিন জানান, সন্ধ্যায় আবদুল কুদ্দুসকে আমার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে সদর থানায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তার স্ত্রী, পুলিশসহ আমি হাসপাতালে নিয়ে যাই। ভর্তির কয়েক ঘন্টা পর হাসপাতালে মারা যায় সে।
সদর হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা ডা. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আবদুল কুদ্দুস স্ট্রোক করেন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। কোন নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়নি বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
পুলিশ সুপার ড.এএইচএম কামরুজ্জামান বলেন, একটি চেক মামলায় কুদ্দুসকে গ্রেপ্তার করা হয়। থানায় নেওয়ার পর তিনি অসুস্থবোধ করলে তার স্ত্রী এবং স্থানীয় কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে পুলিশ তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন
লক্ষ্মীপুরে দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত নুরু টেইলারের জানাযা সম্পন্ন
লক্ষ্মীপুরে দুর্বৃত্তের অতর্কিত হামলায় আওয়ামীলীগ নেতার মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ পারভেজের মৃত্যু