মুক্তিকন্ঠ

ভয়েস অফ ফ্রিডম ফাইটার ১৯৭১

চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ালীগের সভাপতি হিসেবে আবুল কাশেম চৌধুরীই যোগ্য : তৃণমূল আওয়ামীলীগ

আবুল কাশেম চৌধুরী

শেয়ার করুন

মোহাম্মদ হাছান, জেলা প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুরঃ

লক্ষ্মীপুর জেলার নব গঠিত চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক ও প্রথম কাউন্সিল আগামী ১ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ সম্মেলনকে ঘিরে সম্ভাব্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা কাউন্সিলর ও নেতা কর্মীদের দুয়ারে দুয়ারে ধর্ণা দিয়ে চলছে। পাশাপাশি প্লেকার্ড, পেষ্টুন , তোরণ সহ নানা ভাবে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৪সালে থানা প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম থানা আওয়ামীলীগের সম্মেলন হচ্ছে।

ইতিমধ্যে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি হাজির পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলনের পান্ডেল নির্মাণের কাজ প্রায় সম্পন্ন করছে। এ সম্মেলনকে ঘিরে নেতা কর্মীদের মধ্যে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এ থানা কমিটিতে এবার সভাপতি পদে ৫জনের ও সাধারণ সম্পাদক পদে ২৬ জনের নাম শুনা যাচ্ছে। সভাপতি পদে প্রার্থীরা হলেন, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আবুল কাশেম চৌধুরী,জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প বিষয়ক সম্পাদক সাবেক জাতীয় পার্টির নেতা ও ডেলিকেট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষক লীগের বহিস্কৃত সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জাসদ রব নেতা ছাবির আহাম্মদ, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফরিদা ইয়াছমিন লিকার স্বামী ও সাবেক ছাত্র নেতা মোঃ শাহজাহান কামাল, উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মোঃ আব্দুল ওহাব প্রকাশ ওয়াব কন্টাকটার, এদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে আছেন ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা ও উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিগত উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী আবুল কাশেম চৌধুরী,দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী জম্মসূত্রে আাওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান। ছাত্র জীবন থেকে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীনিতর সাথে জড়িত রয়েছেন।

পরবর্তীতে তিনি উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সর্বশেষ গঠিত লক্ষ্মীপুর সদর উপ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং নব গঠিত চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক। এ ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা দলের কার্যক্রম করতে গিয়ে বার বার নির্যাতিত হয়েছেন। জাসদ সন্ত্রাসীরা তাকে তুলে নিয়ে নির্মম নির্যাতনে ও গুলি করে হত্যা করতে চেষ্টা চালিয়েছিল। মর্মুষ অবস্থায় তাকে স্থানীয় জনতা উদ্ধার করে ঢাকায় প্রেরণ করলে ঢাকার ফার্মগেইটস্থ আলরাজী হসপিটালে দলীয় সভানেত্রী তাকে দেখতে আসেন। তিনি সহ তার পরিবারের সদস্যরা বিএনপির নানা মিথ্যা মামলা মোকাবেলা করতে হয়েছে। ভোগ করতে হয়েছে কারা নির্যাতন। সন্ত্রাসীরা তাকে বার বার হত্যার চেষ্টা চালিয়েছি। তার বাড়ি ঘরে ভাংচুর ও গুলি চালিয়েছিল বার বার। দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ এই নেতা দলের জন্য সব নির্যাতন নিরবে সহ্য করে যেতে হয়েছে। অপর দিকে দলের একটি উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হয়েও পুরো জেলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনকে শক্তিশালী করতে সব সময় সক্রিয় ভুমিকা পালন করে গেছেন। নানা সময় নানা লোভ ও হুমকী ধমকী তাকে দলের আনুগত্য থেকে বিন্দুমাত্র নাড়াতে পারেনি। সর্বত্র জনপ্রিয় এই নেতা খেয়ে না খেয়ে সব সময় নিজের দল ও দলীয় নেতা কর্মীদের পার্শ্বে আর্থিক শারিরিক ও মানষিক ভাবে দাড়িয়েছেন। দলের উন্নয়নের পাশাপাশি তিনি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার প্রতিটি গ্রাম মহল্লায় রাস্তাঘাট, পুল কালভার্ড , স্কুল , কলেজ ও মসজিদ মাদ্রাসার উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন। তার অবদান নেই এমন একটি এলাকা বা ইউনিয়ন খুজে পাওয়া যাবেনা। আবুল কাশেম চৌধুরী ছাত্র জীবন থেকেই সমাজ সেবায় অবদান রেখে চলেছেন। ছাত্র জীবনের শেষ প্রান্থে এসে তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছেন। নিজ গ্রামের জামে মসজিদের তিনি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য,নিজ গ্রাম চন্দ্রগঞ্জ থানার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের মনোহর পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনি দীর্ঘ দিন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি এক যুগ ধরে পালপাড়া ডি, এম উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

তার বড় ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাাচিত হয়েছেন। বিগত ইউপি নির্বাচনে মিজানুর রহমান বিপুল ভোটে উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বিগত ইউপি নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর জেলায় দলীয় নেতা ও তাদের স্বজনদের যখন দলীয় প্রতীক নিয়ে পরাজয় ও দলের ভরাডুবি হয়েছে তখন এ জেলায় একমাত্র আবুল কাশেম চৌধুরীর সন্তান মিজানুর রহমান দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। দলীয় কাউন্সিলর ও নেতা কর্মীদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, আবুল কাশেম চৌধুরীর সাথে যারা সভাপতি পদে প্রার্থী তারা আবুল কাশেম চৌধুরীর সাথে প্রতিদ্বন্ধীতার যোগ্যতা রাখেননা। এদের কেউ কেউ দলে নবাগত ও দলের দূর্দিনে পীষ্ঠ প্রদর্শনকারি। দল থেকে বহিস্কৃত স্বার্থবাদী। অনেকেই জানান, দলের কাউন্সিলরদের ভোটে আবুল কাশেম চৌধুরী সিংহ ভাগ ভোট পেয়ে বিজয়ী হবেন। অন্য চার প্রার্থী যতই তৎপরতা ও টাকা ছিটিয়ে চেষ্টা চালাকনা কেন আবুল কাশেম চৌধুরীর অর্ধেক ভোটও তারা সবাই মিলে পাবেনা। ভোট না দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা যদি  হাজারো নেতা কর্মীআ গড়ার কারিগর আবুল কাশেম চৌধুরীর পরিবর্তে অন্য কাউকে সভাপতি ঘোষণা করেন তাহলে সাধারণ নেতা কর্মীরা তা কোন ভাবেই মেনে নিবেনা বলেও জানিয়েছেন কিছু কিছু নেতা কর্মী। আবার অনেকেই জানিয়েছেন আবুল কাশেম চৌধুরীকে বাদ দিয়ে যদি জাসদ বা জাতীয় পার্টি থেকে আগত বা বিগত সামরিক সরকার আমালে দলত্যাগী কাউকে সভাপতি করা হয় তাহলে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের আস্থা হারাবে এবং দল দিন রাত দুবার করে বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ দিকে দলের সাধারণ সম্পাদক পদে বেশ কয়েকজন বহিরাগত ও দলের নেতা কর্মীদের রক্ত ঝরানো বিএনপি ক্যাডারদের সহযোগী রয়েছে দাবী করে নেতা কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, দলের দূর্দিনের কান্ডারী ছাড়া কাউকে তারা সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও মেনে নিবেনা।


শেয়ার করুন