মুক্তিকন্ঠ

ভয়েস অফ ফ্রিডম ফাইটার ১৯৭১

লক্ষ্মীপুরে রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয় কমিটিতে স্থান না পেয়ে প্রধান শিক্ষককে হুমকি

শেয়ার করুন

মুক্তিকন্ঠ ডেস্কঃ

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিতে স্থান না পাওয়ায় প্রধান শিক্ষককে প্রাণ নাশের হুমকী ও নানা অপবাদ রটিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবীবুর রহমান জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে প্রদান শিক্ষক হাবীবুর রহমান চন্দ্রগঞ্জ থানায়, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করছেন।
জানাযায়, লক্ষ্মীপুর  সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েগেলেও কমিটি নির্বাচনের কোন উদ্যোগ না নিয়ে গোপনে তাদেকে পুনঃ নির্বাচিত ঘোষণার দাবী করে আসছিল। কিন্তু প্রধান শিক্ষক হাবীবুর রহমান এতে রাজি না হয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লার চেয়ারম্যান বরাবরে বিধি মোতাবেক এডহক কমিটি গঠন করার জন্য আবেদন করেন। এডহক কমিটিতেও ওই এলাকার মোঃ ফারুক সহ কয়েকজন ব্যক্তি তাদের নাম অন্তর্ভূক্তি করার দাবী জানান। প্রধান শিক্ষক ফারুকের নামের পরিবর্তে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য গোলাম ছরোয়ারের নাম সভাপতি হিসেবে প্রস্তাব করে শিক্ষা বোর্ডে কমিটির নাম প্রেরণ করেন। সম্প্রতি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ উক্ত এডহক কমিটি অনুমোদন করেন। নব গঠিত এডহক কমিটি বিদ্যালয়ে সভা করার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে কমিটিতে স্থান না পাওয়া ফারুক হোসেন ও তার অনুশারীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে।গত ১০ মে বিদ্যালয়ে এসে তারা প্রকাশ্যে প্রধান শিক্ষককে প্রাণ নাশ সহ নানা ধরনের হুমকী ধমকী দিয়ে যায়। পরবর্তীতে তারা গত ১২ মে বিদ্যালয়ের মাঠে কমিটি বাতিল ও প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ চেয়ে মানব বন্ধন এবং গত ২২ মে বিদ্যালয়ের মাঠে বিদ্যালয়ের ক্লাশ চলাকালে মঞ্চ তৈরী করে প্রদান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আতœসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সমাবেশ ও হুমকী ধমকী দেয়।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও অভিবাবকের সাথে কথা বলে জানাযায় যারা প্রধান শিক্ষককে হুমকী ধমকী ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সমাবেশ এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলছেন তারা কেউই বিদ্যালয়ের অভিবাবক নন। বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার জন্য এই চক্রটি কাজ করে যাচ্ছে। আমারা তাদের এহেন কর্মকান্ডের নিন্দা জানাই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক হাবীবুর রহমান হুমকী ধমকী ও বে আইনী সমাবেশের কথা স্বীকার করে জানান, আমি একজন শিক্ষক। তারা আমাকে প্রকাশ্যে প্রাণ নাশের হুমকী ও আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে আমার সম্মানহানী করে যাচ্ছে। আমি প্রতিকার চেয়ে সংশ্লীষ্ট কর্মকর্তাদের নিকট আবেদন করেছি।


শেয়ার করুন