মুক্তিকন্ঠ ডেস্কঃ
লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইনের বাবুর্চি শাহ আলম ও চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের সোর্স শরীফের প্রতারণারবলি লক্ষ্মীপুর সদর মডেল ও চন্দ্রগঞ্জ থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জসীম উদ্দীন।
চন্দ্রগঞ্জ থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় এই দুই প্রতারক পরস্পরের যোগ সাজসে ওসি জসিম সেজে থানা এলাকা ও পার্শ্ববর্তী নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানা এলাকার বিভিন্ন যুবককে পুলিশে,রেলওয়ে সহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় চাকুরী ও মাত্র ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে দরিদ্র পরিবারকে ঘর দেওয়ার নাম করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এ কাজ সহজ করতে তারা চন্দ্রগঞ্জ থানা এলাকায় একাধিক ব্যক্তিকে এজেন্ট নিয়োগ দিয়েছে মর্মে প্রদত্ত অভিযোগ ও প্রতিবেদকদ্বয়ের সরোজমিনে অনুসন্ধানে তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। নিয়োগকৃত এজেন্টদের মধ্যে রয়েছে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের ইন্দ্রপুর গ্রামের শাহাদাত হোসেন, দত্তপাড়া ইউনিয়নের পুনিয়া নগর গ্রামের জহির উদ্দিন পাটওয়ারী বাড়ির আলী হায়দার, দত্তপাড়া বাজারের কাপড় ব্যবসায়ি ও বশিকপুর ইউনিয়নের কাঁশিপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন, উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের উত্তর জয়পুর গ্রামের কবিরাজ বাড়ীর রাজমেস্তুরী কামাল হোসেন প্রমুখ।
প্রতারণার শিকার হয়ে এই এজেন্টদের মধ্যে দেলোয়ার হোসেন বর্তমানে ব্যবসা ও এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। অন্যরা পাওনাদারদের দ্বারা প্রতিনিয়ত নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। অপর দিকে এই দুই প্রতারকের প্রতারণার সাথে বিন্দুমাত্র জড়িত না থেকেও প্রতারক চক্র তার নাম ও পরিচয় ব্যবহার করার ফলে অপরাধের মিথ্যা বোঝা মাথায় ওসি পদ থেকে প্রত্যাহার হয়েছেন লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার সদ্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দীন । প্রতারক শরীফ ও শাহ আলমের এজেন্টদের দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওসি জসিমকে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে সদর থানা থেকে প্রত্যাহার করে রাঙ্গামাটি পুলিশ লাইনে বদলী করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগ তদন্ত করছে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) পলাশ কান্তি নাথ।
ভুক্তভোগী অভিযোগকারিদের দায়েরকৃত অভিযোগের অনুলিপি, ডকুমেন্ট, ও ভয়েস রেকর্ড সহ বিভিন্ন কাগজ পত্রের অনুলিপি এ প্রতিবেদককে দিয়েছে তারা। তাদের প্রদত্ত অভিযোগও তাদের সাথে সরাসরি কথা বলে এবং সাংবাদিকতার রীতিনীতি মেনে অনুসন্ধান করে ওসি জসীম উদ্দীনের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি এখন পর্যন্ত। তারা স্বীকার করেন ওসি জসিম উদ্দিনকে তারা আগে থেকে চেনা থাকলেও চাকুরী ও ঘর দেওয়ার জন্য টাকা পয়সা লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের সাথে কখনো সরাসরি কোন কথা বার্তা হয়নি। টাকা পয়সা লেনদেন করার পরও তার সাথে তাদের দেখা হলেও তারা তাকে এ ব্যাপারে সরাসরি কোন কথা বলেননি। তারাও ওসিকে কোন কথা জানাননি এবং ওসির কাছ থেকে জানতে চাননি। তারা সবাই জানান ওসি জসীম উদ্দীন পরিচয় দিয়ে প্রতারক শরীফের মোবাইলে তাদের সাথে বার বার কথা বার্তা হয়েছিল। মোবাইলের অপর প্রান্তের লোকটি ওসি জসিম কিনা তা তারা জানতে পারেনি। এ অভিযোগ সমুহের সরোজমিন তদন্ত কালে “ সাপ খুড়তে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে অজগরের কাহিনী”র মতো ঘটনার সন্ধান পাওয়াগেছে। তথ্য অনুসন্থানে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নিশ্চিত হওয়া গেছে এই দুই প্রতারকের একজন হলো লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের চাঁদপুর মেহের আলী হাজী বাড়ির মৃত আব্দুস ছমদের ছোট ছেলে সিএনজি অটোরিক্সা চালক মোঃ শরীফ। সিএনজি অটোরিক্সা চালানোর সুবাধে সে দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সদস্যদের নিয়ে প্রথম দিকে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতো। পরবর্তীতে সে মামলার আসামীদের তথ্যাদি পুলিশকে সরবরাহ করতো। ওসি জসীম উদ্দীন দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত থাকাকালে একজন ভালোমানের সোর্স হওয়ার সুবাধে তার সাথে পরিচয় ও ঘনিষ্ট হয়।
পরবর্তীতে সেই সুত্র ধরে জসীম উদ্দীন চন্দ্রগঞ্জ থানায় যোগদান করলে শরীফ ওসি জসীম উদ্দীনকে আগের ন্যায় সোর্স হিসেবে তথ্য ও আসামী গ্রেপ্তারে সহযোগীতা করতে থাকে। অপরদিকে শরীফের সহযোগী লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইনের বাবুর্চি শাহ আলম একই ইউনিয়নের উত্তর জয়পুর গ্রামের কবিরাজ বাড়ির মৃত হাজী ইউনুছ মিয়ার পুত্র। প্রায় ১০ বছর ধরে পুলিশ লাইনের বাবুর্চি হিসেবে সে কর্মরত রয়েছে। এই শাহ আলমের সাথে ওসি জসীম উদ্দীনের তেমন কোন সম্পর্কের তথ্য পাওয়া যায়নি।
বর্তমান পুলিশের আইজিপি প্রতি থানায় হতদরিদ্রকে একটি ঘর নির্মাণের জন্য ওসিদের দায়িত্ব অর্পনের প্রেক্ষিতে তারা থানা এলাকায় একটি ঘর নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহন করে। পুলিশ কর্তৃক চন্দ্রগঞ্জ সহ সারাদেশে ঘর নির্মাণ করার ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হওয়ার সুবাধে সাধারণ জনগনের মধ্যে পুলিশের ওসি ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছেন মর্মে বিশ্বাসের সৃষ্টি হয়। আর পুলিশের ওসির ঘর নির্মাণ ও জনগনের বিশ্বাসকে পুঁজি করে এই দুই প্রতারক জনগনের মধ্যে এই প্রতারণার ফাঁদ পাতেন।
জানাযায় চাকুরী ও ঘর এবং প্রদত্ত টাকা ফেরতের জন্য প্রতারক শরীফকে আটক করলে ওসি জসিমের পক্ষ থেকে লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইনের আর ও আই (রিজার্ভ অফিসার ইনচার্জ) পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি কখনো ফোনে আবার কখনো কখনো সরাসরি এসে শরীফকে ছাড়িয়ে নিতেন এবং চাকুরী দেওয়ার জন্য সময় নিতেন। অনুসন্ধানকালে আমরা উক্ত কথিত আর ও আই এর মোবাইল নাম্বারে আর ও আই শাহআলম সাহেব সম্ভোধন করলে তিনি আর ও আই দুরে থাকুক পুলিশ লাইনে কর্মরত বাবুর্চিও পরিচয় দিতে অস্বীকার করেন। তিনি নিজেকে রাসেল পরিচয় দেন। অথচ তার উক্ত সীম নিবন্ধন পরিক্ষাকালে সীমটি শাহআলম নামে নিবন্ধনকৃত এবং সীমের তথ্য উপাত্তে তার ছবিটি যুক্ত রয়েছে মর্মে দেখা যায়।
শরীফের নিয়োজিত এজেন্ট লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের উত্তর জয়পুর গ্রামের কবিরাজ বাড়ীরমৃত হাজী ইউনুছ মিয়ার পৃুত্র প্রবাস ফেরৎ রাজমিস্ত্রী মোঃ কামাল হোসেন জানান, তিনি প্রথম দিকে শরীফের নিয়োজিত রাজমেস্তুরী হিসেবে কয়েকটি ঘরের নির্মাণ কাজ করেছেন। পরবর্তীতে তিনি শরীফের প্রলোভনে পড়ে প্রতিবেশী ও আত্নীয় স্বজনদের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা এনে শরীফকে দিয়েছেন। পরবর্তীতে ঘর না দিয়ে শরীফের নানা ঘড়িমশি ও আত্নীয় স্বজনদের ছাপের কারণে তিনি একবার শরীফকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে নিজ বাড়িতে আটক করে রেখে ছিলেন। খরব পেয়ে দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর সাবেক মুন্সী বর্তমানে রায়পুরের হাজিমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে কর্মরত কনষ্টেবল কিবরিয়া গিয়ে পরদিন সকালে তদন্ত কেন্দ্রে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি নিস্পত্তি করে দেওয়ার কথা বলে শরিফকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। পরদিন যথারীতি কামাল ও তার মাধ্যমে টাকা প্রদানকারি কয়েকজন তদন্ত কেন্দ্রে গেলেও শরীফ আর উপস্থিত হয়নি। শরীফ উপস্থিত হয়নি তাই বৈঠক করা সম্ভব হচ্ছেনা মর্মে তদন্ত কেন্দ্র থেকে তাদের ফেরৎ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। একই ভাবে প্রতারক শরীফকে দত্তপাড়া বাজারের কাপড় ব্যবসায়ি ও বশিকপুর ইউনিয়নের কাঁশিপুর গ্রামের দেলোয়ার প্রদত্ত টাকার জন্য আটক করলে সে স্থানথেকেও মুন্সী কিবরিয়া তাকে নিজ জিম্মায় ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন।
এ দিকে ওসি জসীম পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলা চারটি মোবাইল নাম্বারের নিবন্ধন তথ্যে দেখা যায় সব কয়টি মোবাইল নাম্বারই প্রতারক শরীফের নামে নিবন্ধনকৃত। অপর দিকে ওই সীম গুলোর ভয়েজ রেকর্ড শুনে কামাল হোসেন নিশ্চিত করেন এই ভয়েজ রেকর্ডগুলো তার সহোদর ভাই লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইন এ কর্মরত বাবুর্চি মোঃ শাহ আলমের। অপরদিকে অন্য অভিযোগকারিরা ছবি দেখে লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইনের আর ও আই পরিচয় দেওয়া লোকটিকেও তারা সনাক্ত করেন। উক্ত ছবির ব্যক্তিটিও কামাল হোসেন তার সহোদর ভাই লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইন্স এ কর্মরত বাবুর্চি মোঃ শাহ আলম বলে নিশ্চিত করেন। অভিযোগকারি শাহাদাৎ সহ অন্য কয়েকজন জানান, বাবুর্চি শাহ আলম লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইনের আর ও আই এবং ওসি জসীম উদ্দীনের প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে সরাসরি তাদের কাছে এসে চাকুরীর জন্য আরো কিছু দিন অপেক্ষা করার অনুরোধ করেছেন এবং শান্ত থাকার জন্য শান্তনা দিয়েছেন। ওসি জসীম উদ্দীনের বিরুদ্ধে অভিযোগকারি ইন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আবুল খায়েরের পুত্র শাহাদত হোসেন জানান, শাহআলম এর নিকট তিনি কয়েকবার লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইনে গিয়েছেন এবং তার ও শরীফের হাতে টাকা দিয়েছেন। তখন সে জানতো শাহ আলম পুলিশ লাইনের আরওআই।
শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, ওসি জসীম উদ্দীনের বিরুদ্ধে পুলিশ সদর দপ্তর সহ বিভিন্ন স্থানে লিখিত অভিযোগ করলেও তিনি স্বীকার করেন ওসি জসীম উদ্দীনের নিকট তিনি কোন টাকা হস্তান্তর করেননি। যে চুক্তি পত্রের স্ট্যাম্পটি শাহাদাতকে দেওয়া হয়েছিল তাও শরীফ তাকে হস্তান্তর করেছে। বর্তমানে সে তার ভুল ও প্রতারিত হওয়ার কথা বুঝতে পেরেছে। ওসি জসীম উদ্দীনের বিরুদ্ধে তার দায়েরকৃত অভিযোগের জন্য তিনি অনুতপ্ত ও ক্ষমাপ্রার্থী । এ দিকে ওসি জসীম উদ্দীন সেজে ও তার প্রতিনিধি হয়ে প্রতারণাকারি লক্ষ্মীপুর পুলিশ লাইনের বাবুর্চি শাহ আলম এখনো পুলিশ লাইনে কর্মরত রয়েছেন । অপর প্রতারক সিএনজি অটোরিক্সা চালক শরীফ বর্তমানে গাঢাকা দিয়ে থাকেলেও একটি প্রভাবশালীর শেল্টারে রয়েছেন বলে জানাগেছে। এ দুই প্রতারককে দ্রুত আইনের আওতায় এনে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করার দাবী জানিয়েছে প্রতারণার শিকার পরিবারগুলো। তাদের কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই দুই প্রতারকের প্রতারণার বিষয় স্পষ্ট হয়েগেলেও প্রশাসন তাদের কেন গ্রেপ্তার না করে নিরব রয়েছেন, তা তাদরে ভোদগম্য নয়। একের দোষ অন্যের ঘাড়ে এমন ঘটনা তারা আর দেখতে চায়না। এ দিকে আলাপকালে লক্ষ্মীপুর সদর থানা থেকে প্রত্যাহার হওয়া ওসি জসীম উদ্দীন কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, যে অপরাধে আজ তিনি অপরাধী সে অপরাধ সম্পর্কে অভিযোগ হওয়ার আগে তিনি ঘুনাক্ষরেও কখনো জানতে পারেননি। ২০১৯ সালে চন্দ্রগঞ্জ থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় প্রতারকরা তার নামে প্রতারণা চালিয়ে টাকা হাতিয়ে নিলেও তাকে কেউ একটি বারের জন্যও জানায়নি। অথচ তিনি চন্দ্রগঞ্জ থানা এলাকায় ও পরবর্তী লক্ষ্মীপুর সদর থানায় যোগদানের পর মসজিদ সহ জনসমাবেশে গিয়ে তার মোবাইল নাম্বার দিয়ে যে কোন অপরাধের বিষয় জানানোর জন্য অনুরোধ করেছেন। তার সে সব কর্মকান্ড দেশের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছিল। দীর্ঘদিন শুনামের সাথে পুলিশ বাহিনীতে চাকুরী করলেও এখন তিনি দুর্ণামের বোঝা বয়ে চলছেন। লজ্জায় স্ত্রী ও কন্যা সন্তান এবং আত্নীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবকে তিনি মুখ দেখাতে পারছেননা। তিনি এই অহেতুক দায় থেকে মুক্তি কামনা করছেন। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন ওসি জসীম বা এই ভাবে যারা মিথ্যা অভিযোগে শাস্তি সূলভ বদলী নিয়ে অন্যত্র চলে যায়, তারা কি তাদের হারিয়ে যাওয়া সম্মান ফিরে পাবে??
ওসি জসীম উদ্দীনের বিরুদ্ধে পুলিশ সদর দপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরে দায়েরকৃত অভিযোগ সমুহের তদন্ত করছেন লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) পলাশকান্তি নাথ। এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, অভিযোগটি তিনি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছেন, তদন্ত অনেকদুর এগিয়েছে। তদন্তনাধীন বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি না হয়ে তিনি বলেন,অপরাধীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। প্রকৃত অপরাধীরা আইনানুগ যেন সাজা পায় সে ব্যাপারে তিনি কাজ করছেন। (নিউজের সত্যতার সকল ডকুমেন্টস তথকোষে জমা আছে)
আরও পড়ুন
লক্ষ্মীপুরে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা
লক্ষ্মীপুরে অনূর্ধ্ব-১৫ ফুটবল বাছাই-প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
লক্ষ্মীপুরে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা