মুক্তিকন্ঠ ডেস্কঃ
লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা এম সজীবের জানাযা সম্পন্ন। জানাযায় হাজার হাজার মানুষের ঢল।
শুক্রবার সকল ১০টায় স্থানীয় প্রতাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দুর্বৃত্তের হাতে নিহত চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সদস্য ও কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী এম সজীবের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাযায় উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর-৩(সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আ’লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু, লক্ষ্মীপুর-২(রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক এড. নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, জেলা আ’লীগের সাবেক সভাপতি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এম. আলাউদ্দিন, চন্দ্রগঞ্জ থানা আ’লীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক আব্দুল ওহাব (কন্ট্রাক্টর), সহ-সভাপতি ছাবির আহম্মেদ, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক সভাপতি ও চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, এগিয়ে যাও বাংলাদেশ প্রধান সমন্বয়ক ইসমাইল মাহমুদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি, সাধারন সম্পাদক শাহাদাত হোসেন ভূইয়া, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু তালেব, সাধারন সম্পাদক এম মাসুদুর রহমান, সহ-সভাপতি, রিয়াজ হোসেন জয়, নোমান হোসেন, থানা কৃষকলীগের সভাপতি জাকির হোসেন জাহাঙ্গীর, থানা শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক সাহাব উদ্দিন, ১ম যুগ্ন আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিংকুসহ হাজার হাজার নেতা কর্মী ও সাধারন মানুষ।
বক্তব্য উপস্থিত নেতারা কর্মীরা সজীব হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সকলের ফাঁসি দাবি করেন পাশাপাশি চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের বিতর্কিত সভাপতি কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুকে দ্রুত দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার এবং আ’লীগের সদস্য পদ বাতিল করার জন্য জোর দাবী জানান।
গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে ফেরার পথে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্ধের জেরধরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পাঁচপাড়া গ্রামের জৈদের পুকুরপাড় এলাকায় সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা-কর্মীদের গুলিতে চন্দ্রগঞ্জ থানা সেচছাসেবক লীগের আহবায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুর গ্রুপ অতর্কিত গুলি চালিয়ে সজিব সহ ছয়জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে আহত করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত মো. সজিব সহ ৩ জনকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে সজিবের মাথায় অস্ত্রপচার করা হলেও তার আর জ্ঞান ফিরেনি। ওই হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজিবকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে।
মো. সজিব সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার দ্বিতীয়পুত্র। সে কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র এবং ছাত্র নেতা ছিলেন। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে সজিবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় থানা সেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও সদস্য সচিব তাজু ভুঁইয়া সহ ১১জনের নাম উল্লেখ করে ৩১ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাজু ভূঁইয়া সহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করেছে।
আরও পড়ুন
চন্দ্রগঞ্জ ইউপি কার্যালয়ে লাগানো তালা গভীর রাতে উধাও
চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কার্যালয়ে তালা ও ভাংচুর, সেবাপ্রার্থীদের চরম ভোগান্তি
লক্ষ্মীপুরে সিএনজি-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ: নিহত ২ ,আহত ৯