মুক্তিকন্ঠ ডেস্কঃ
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জে দীর্ঘ ৫২বছর ওয়ারিশসূত্রে ও খরিদসূত্রে মালেকীয়, দখলীয় সম্পত্তির উপর জারিকৃত ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করেছে আদালত।
বুধবার (৫জুন) লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক প্রিয়াংকা দত্ত এই আদেশ প্রদান করেন।
জানাযায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের ইয়াছিন পাটোয়ারী বাড়ির মরহুম অলি উল্যা মুন্সীর ছোট ছেলে মরহুম বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহম্মদ এর খরিদ ও ওয়ারিশসূত্রে মালিক ৩০শতাংশ জমি গত ৫২বছর যাবত ভোগ দখল করিয়া আসিতেছে। এর মাঝে সড়ক বিভাগ ৩শতাংশ জমি সড়কের জন্য নিয়া যায়। বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহম্মদ তাহার জীবদ্দশায় ২০১৮ সালে অবশিষ্ট ২৬শতাংশ জমি তার ছোট মোহাম্মদ ফয়সালকে হেবা ঘোষণা করেন, যাহা চন্দ্রগঞ্জ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের রেজিষ্ট্রি করা হয়। পববর্তীতে ফয়সাল তার নামে নামজারি করে এতদিন পর্যন্ত ভোগ দখলে আছে। সম্প্রতি আরএস খতিয়ানে ভূলক্রমে ১০শতাংশ জমি পশ্চিম লতিফপুরের নজির আহম্মদের নামে খতিয়ান হয়ে যায়। চুড়ান্ত খতিয়ান আসলে বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোহাম্মদ ফয়সাল খতিয়ান সংশোধনের জন্য লক্ষ্মীপুর আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা করে ২০২৩ সালে, যাহা এখনো চলমান।
খতিয়ানে ভূলবশত নজির আহম্মদের নামে খতিয়ান হওয়ায় তাহার ছেলেরা জোর পূর্বক বহিরাগত সন্ত্রাসী দ্বারা জমি দখলের চেষ্টা করে। চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নজির আহম্মদের ছেলে ইসমাইল হোসেন একটি মিছ মামলা দায়ের করে।
মামলার দথিপত্র পর্যালোচনা করে বুধবার (৫জুন) লক্ষ্মীপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক প্রিয়াংকা দত্ত আদালতে দেওয়ানী মামলা চলমান থাকায় উক্ত মিছ মামলা ২৮৪/২৪ প্রত্যাহার পূর্বক মামলাটি নথিজাত করার আদেশ দেন। এছাড়াও চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য এই আদেশের অনুলিপি প্রেরণ করেন।
এদিকে মামলার রায়ের সংবাদ পেয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহম্মদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে আনন্দ উচ্ছাস দেখা যায় এবং তারা ন্যায় বিচার পেয়েছে বলে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান।
আরও পড়ুন
লক্ষ্মীপুরে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে নারীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার-২
লক্ষ্মীপেুরে ৩৭জন আইনজীবিকে সরকারী আইন কর্মকর্তা-সরকারী কৌঁসুলি(জিপি)সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ
লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের আমির রুহুল আমিন ভূইয়ার শপথ গ্রহন