মুক্তিকন্ঠ

ভয়েস অফ ফ্রিডম ফাইটার ১৯৭১

লক্ষ্মীপুরে ঘন ঘন লোডশেডিং, জনজীবন বিপর্যস্থ

ছবি সংগৃহিত

শেয়ার করুন

মোহাম্মদ হাছান, লক্ষ্মীপুর

লক্ষ্মীপুরে গত ১৫দিন ধরে ব্যাপকহারে লোডশেডিং হচ্ছে। দিন-রাত মিলিয়ে লোডশেডিং হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ বার। এ নিয়ে জনজীবনে তৈরী হচ্ছে অনাকাঙ্খিত বিপর্যয়।

শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং হচ্ছে অনেক বেশি, ফলে পড়ালেখা ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে বিপাকে পড়েছে গ্রাহকরা। তবে ঘনঘন লোডশেডিংয়ে ব্যবসা-বানিজ্য ও শিল্পকলকারখানায় উৎপাদন বিঘ্রিত হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দিনে রাতে মিলে মোট ১৫/২০বার বিদ্যুৎ চলে যায়। যার ফলে এলাকাবাসী চরম দূর্ভোগে আছে।

স্থানীয়রা জানায়, প্রতিমাসে বিল পরিশোধ করা হলোও ঠিকমত বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছেনা। বিদ্যুৎ না থাকায় ঠিকমত ব্যবসা বানিজ্য করা যাচ্ছেনা। দিন রাত মিলিয়ে লোডশেডিং হচ্ছে ১৫/২০ বার। প্রতিদিন গড়ে ১২ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকেনা। লোডশেডিংয়ে এর কারনে অন্ধকারে থাকতে হয় বলে অভিযোগ করেন গ্রাহকরা। গত ১৫দিন ধরে ঘনঘন লোডশেডিংয়ে ব্যবসা-বানিজ্য ও শিল্পকলকারখানায় উৎপাদন বিঘ্রিত হচ্ছে। পাশাপাশি তীব্র তাপদহ ও ঘনঘন লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে।

লক্ষ্মীপুর জেলার ৫টি উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ ও পিডিপি গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ। সে অনুপাতে চাহিদা রয়েছে ১৩৪ মেগাওয়াট। প্রতিদিন পল্লী বিদ্যুৎতের চাহিদা রয়েছে ১১০ মেগাওয়াট। পাওয়া যাচ্ছে  অর্ধেক মেগাওয়াট। কিন্তু অধিকাংশ সময়ে চাহিদার তুলনায় গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ অনেক কম। গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎতের লোডশেডিং হচ্ছে দিনে ১৫/২০ বার। দিন-রাত মিলে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে চাহিদার তুলনায় অর্ধেক।  ফলে শহরের পাশাপাশি  গ্রামাঞ্চলে দেখা দিয়েছে তীব্র লোডশেডিং। ঠিকমত বিদ্যুৎ না থাকায় সামনে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করতে পারছেনা। ব্যবসা-বানিজ্য, শিল্প কল কারখানার পাশাপাশি অফিস আদালতে বিড়ম্বনায় পড়েতে হয় প্রতিনিয়ত। এছাড়া বাসা-বাড়িতে ফ্রিজ-এসি ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নিরাবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না পাওয়ায় গ্রাহকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। দ্রুত এ বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানের আশা করছেন গ্রাহকরা।

সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের সাব-ষ্টেশনের এ্যাসিস্টেন্ট জেনারেল ম্যনেজার (এজিএম) ফয়সাল হোসেন লোডশেডিং বিষয়ে জানান, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় লোডশেডিং দেওয়া লাগতেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ চাহিদা অনুযায়ী ফেলে লোডশেডিংও কমে যাবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. আসাদুজ্জামান খান বলেন, জেলায় বিদ্যুৎতের গ্রাহক রয়েছে  ৫ লাখ ৪০ হাজার । গ্রাহক চাহিদা অনুযায়ী ১১০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎতের চাহিদা। চাহিদার অর্ধেকও পাওয়া যাচ্ছেনা। এতে করে দিনে রাতে বেশ কয়েকবার লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। দ্রুত সময়ে সমস্যা সমাধানের আশা করছেন তিনি।


শেয়ার করুন