মুক্তিকন্ঠ

ভয়েস অফ ফ্রিডম ফাইটার ১৯৭১

লক্ষ্মীপুরে নুরু টেইলার হত্যা: ২৭ জনকে আসামী করে থানায় মামলা

শেয়ার করুন

মুক্তিকন্ঠ ডেস্ক:

লক্ষ্মীপুরে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নুর আলম প্রকাশ নুরু টেইলার হত্যায় ২৭জনকে আসামী করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মো. মফিজুল ইসলাম।

মঙ্গলবার নিহত নুরু টেইলারের স্ত্রী মমতাজ বেগম বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন । মামলায় এজাহার নামীয় ২জান এবং অজ্ঞাতনামা ২৫জনকে আসামী করা হয়। এজাহার নামীয়রা হলো পাঁচপাড়া গ্রামের ইট বাড়িয়া পুকুর পাড়ের আবু তাহেরের ছেলে মো: খোকন প্রকাশ খোকা এবং আরেকজন একই গ্রামের মন্দার দিঘীর উত্তর পাড়ের তরিক উল্যাহ‘র ছেলে আনোয়ার হোসেন নিকু। এজাহার নামীয় উভয়ই হত্যাসহে একাধিক চুরি, ডাকাতির মামলার আসামী।

প্রসঙ্গত, রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার দিকে হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। নিহত নুর আলম সদর উপজেলার পাঁচপাড়া গ্রামের গোয়াল বাড়ির কালামিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নুর আলম চন্দ্রগঞ্জের পাঁচপাড়া ২নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন। রাজনীতির পাশপাাশি তিনি টেইলারের কাজ করতেন। ৫ আগষ্টের পর সরকার পতনের পর থেকে নুর আলম ব্যবসা বন্ধ করে বাড়িতে আত্নগোপনে ছিল। রোববার রাত ৯টার দিকে আনোয়ার হোসেন নিকু ও দামা কালুর ভাই খোকনসহ ১৫/২০জনের একদল সন্ত্রাসী নুর আলমের বাড়িতে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে পিটিয়ে নুর আলমকে গুরুতর আহত করে। এসময় বাধা দিতে গেলে স্ত্রী-সন্তানকে পিটিয়ে আহত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় নুর আলমকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

নিহতের ছেলে আরিফ হোসেন বলেন, বিএনপির সমর্থক স্থানীয় সন্ত্রাসী আনোয়ার হোসেন নিকু ও দামা কালুর ভাই খোকনসহ ১৫/২০জনের একদল সন্ত্রাসী রাত ৯টার দিকে পাঁচপাড়ার বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় ঘরে হামলা চালায়। এতে আমার বাবা নুর আলমকে পিটিয়ে হত্যা করে। বাধা দিতে গেলে তাদের ওপর হামলা করে দুইজনকে আহত করে। আওয়ামীলীগের রাজনীতি করার কারনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় বলে দাবী করেন নিহতের ছেলে আরিফ হোসেন ও চাচা শাহ আলম। ৫ আগষ্টের পর থেকে নুর আলম বাড়িতে আত্নগোপনে ছিলেন। পাশপাশি পাচঁপাড়া এলাকায় দোকান দিয়ে টেইলারের কাজ করতো বলে দাবী করেন তারা।

সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার. ডা. জয়নাল আবেদিন বলেন, নুর আলম হাসপাতালে আনার আগে মারা গেছে। তবে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে পিটিয়ে হত্যা করাপ হয় বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সোমবার বিকাল ৪টায় ময়নাতদন্ত শেষে নিহত নুরু টেইলারের পরিবারের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করা হয়। রাত ৮টায় জানাযা শেষে নিহতের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

চন্দ্রগঞ্জ থানার পুৃলিশ পরির্দশক(তদন্ত) মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন এবং  আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।

 

 


শেয়ার করুন

আরও পড়তে পারেন..