মুক্তিকন্ঠ

ভয়েস অফ ফ্রিডম ফাইটার ১৯৭১

লক্ষ্মীপুরে ১১০টি খালের অবৈধ বাধঁ অপসারনের কার্যক্রম শুরু

শেয়ার করুন

মুক্তিকন্ঠ ডেস্কঃ

লক্ষ্মীপুরে ৫টি উপজেলায় রহমতখালী,ডাকাতিয়া,বিরোন্দ্র ও ভূলুয়াখালসহ ছোট-বড় ১১০টি খাল রয়েছে। এসব খালে অবৈধভাবে বাধঁ দিয়ে মাছচাষ ও আশপাশে গড়ে উঠা দোকানপাট অপসারনের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদাম এলাকার রহমতখালী খালে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার। এর আগে পরিস্কার ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান উপলক্ষ্যে একটি র‌্যালী বের করা হয়।

একযোগে পৌরসভার ১৩ টি স্থানে খালে এই অভিযান পরিচালনা করা হবে। এছাড়া রামগতি, রায়পুর ও রামগঞ্জ পৌরসভাতেও খাল পরিস্কার অভিযান কার্যক্রম চলছে। জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার পাশাপাশি এই কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসবী সংগঠনের কর্মীরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আকতার হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও লক্ষ্মীপুর পৌরসভার প্রশাসক মোহাম্মদ রফিকুল হক, সেনাবাহিনীর মেজর জিয়া উদ্দিন আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান ও পৌরসভা সচিব মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ। এদিকে এবারের বন্যায় জেলার ৫টি উপজেলার প্রত্যেকটি এলাকা পানিতে তলিয়ে ছিল। এখনো ২০টি ইউনিয়নের প্রায় দুই লাখ মানুষ এক মাসের বেশি সময় ধরে পানিবন্দি রয়েছে।

লক্ষ্মীপুর সেনাক্যাম্পের দায়িত্বরত মেজর জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সকল ভালো কাজের সাথে রয়েছে। দুর্যোগ ও বন্যা সবক্ষেত্রে সবার সাথে কাঁদ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। খাল অপসারন করার জন্য যা করার দরকার, সেটাই করা হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ-উজ-জামান বলেন, লক্ষ্মীপুরে ৫টি উপজেলায় ছোট-বড় মিলে ১১০টি খাল রয়েছে। এসব খালে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ ও খালের দুই-পাড়ে দোকান-পাট নির্মাণ করার কারনে পানি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এই কারনে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বাধঁ অপসারন করা হয়েছে।
এসময় জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার বলেন, ‘যতই প্রতিকূলতা থাকুক সকলের সময়ন্বয়ে লক্ষ্মীপুরে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারবো। বন্যা পরিস্থিতি, বন্যার দীর্ঘ সূত্রীতা কিংবা জলাবদ্ধতা ও দীর্ঘদিন ধরে বন্যার পানি জমে থাকার বড় কারণ হচ্ছে এখানে পানির অবাধ প্রবাহ ছিলো না। এখানে বিভিন্নভাবে প্রতিকূলতা সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা, মানবসৃষ্ট প্রতিকূলতা।

অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে অনেকে প্রতিকূলতা সৃষ্টি করেছে। আমরা সমস্ত প্রতিকূলতা পরিস্কার করতে চাই’। প্রত্যেকটি খালে অবৈধভাবে বাধঁ ওদখলকারীদের উচ্ছেদ করা হবে। যেন এ বন্যা ও বন্যার সময় ছাড়াও জলাবদ্ধতার কারণে কোন ধরণের সংকট বা দূর্ভোগ পোহাতে বা হয়। এতে সকলের সহযোগীতা কামনা করি। সবার সহযোগীতা পেলে আরও বড় বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে জেলা প্রশাসন। কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শেষ না হওয়া পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।


শেয়ার করুন

আরও পড়তে পারেন..