মোহাম্মদ হাছান, লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি, হামলা ও হত্যার ঘটনায় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ভোররাতে সদর ও রায়পুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মিজান পাটওয়ারী, যুবলীগের ফজলুল করিম, রাজু হোসেন, আরিফ হোসেন,দেলোয়ার হোসেন ও মামুনুর রশিদ। সবাই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মোন্নাফ বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি করে হত্যা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলা তাদের তাদের গ্রেফতার করা হযেছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি ও হত্যা মামলায় অন্য আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, ৪ আগষ্ট বেলা ১১টার দিকে সারাদেশের মতো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে উত্তাল ছিল পুরো লক্ষ্মীপুর। মিছিলে মিছিলে মুখরিত ছিল পুরো শহর। হঠাৎ আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা উত্তর তেমুহানী থেকে একটি মিছিল নিয়ে ঝুমুর চত্ত্বরের দিকে যাচ্ছিলো। এসময় ছাত্র আন্দোলকারীদের মিছিলের ওপর হামলা চালানো হয়। পাল্টা প্রতিরোধে চেষ্টা করে নিরস্ত্র শিক্ষার্থীরা। এসময় জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাদ আল অপসারনকৃত চেয়ারম্যান একেএম সালাউদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে মুহুমুহু গুলি ছুড়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এর জের ধরে ফুসে উঠে শিক্ষার্থীরা। মিছিল নিয়ে বাজারের দিকে এগোতো থাকে তারা। শহরের তমিজ মার্কেট এলাকায় পৌছলে নিজ বাসভবনের ছাঁদ থেকে প্রকাশ্যেই সালাউদ্দিন টিপু ও তার সহযোগিরা শিক্ষার্থীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাদ আল আফনান ও সাব্বির হোসেনসহ চার শিক্ষার্থী নিহত। এসময় তিন শতাধিক গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় কমপক্ষে ৫শ বেশি শিক্ষার্থী। এঘটনায় হত্যাসহ একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। আর এসব মামলায় আওয়ামীলীগ,যুবলীগসহ অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মীদের আসামী করা হয় ।
আরও পড়ুন
লক্ষ্মীপুরে তিন শিক্ষার্থী হত্যাসহ চার মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
লক্ষ্মীপুরে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত-১, আহত-৬
লক্ষ্মীপুরে বীরমুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল আহম্মেদ পাঠাগার উদ্বোধন