মুক্তিকন্ঠ

ভয়েস অফ ফ্রিডম ফাইটার ১৯৭১

শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার মধ্যে প্রার্থক্য নেই, দূনীর্তি ও দুশাসনের কারনে দুইজনেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেনঃ এ্যানী

বক্তব্য দিচ্ছেন শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী

শেয়ার করুন

মোহাম্মদ হাছান, লক্ষ্মীপুর

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, স্বাধীনতার পর ৭২ সালে শেখ মুজিবের নেতৃত্বে দেশে দু.শাসন ছিল, দূনীর্তি ছিল, খুন-খারাপী ও গুম এবং খুন ছিল। একই অবস্থায় গত ১৭ বছর ধরে দেশের মানুষ শেখ হাসিনার নির্যাতনের শিকার ছিলেন। তাহলে বাপ-বেটির মধ্যে কোন প্রার্থক্য ছিলনা। স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় শেখ মুজিব দেশে ছিলেন না। তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট একই কায়দায় তার মেয়ে শেখ হাসিনা গনহত্যার দায়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এই দেশের মানুষ খুনি শেষ হাসিনাকে রক্ষা করবেনা। তার বিচার বাংলার মাটিতে হবেই হবে।

শনিবার (৯নভেম্বর) সন্ধ্যায় ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র‌্যালী শেষে লক্ষ্মীপুর শহরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের সড়কে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, নির্বাচন নিয়ে কালক্ষেপন করবেন না। এই কালক্ষেপন জনগন মেনে নিবেনা। দ্রুত নির্বাচন দিয়ে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এখন দেশের মানুষ নির্বাচন চায়।

গত ১৭ বছর ধরে ভোট দিতে পারেনি তারা।  গনতন্ত্রের জন্য ও দেশের মানুষের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করছে বিএনপি। এটি এখনও অব্যাহত রয়েছে। এসময় বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী হামলা-মামলা ও গুম খুনের শিকার হয়েছেন। যারা এসব অপকর্মের সাথে জড়িত, তাদের গ্রেফতার ও বিচার করতে হবে।

স্বৈরাচারদের বিচার না হলে এই দেশে গনতন্ত্র থাকবেনা। গনতন্ত্র হুমকির মুখে পড়বে। তাই অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবী, একদিকে দেশের মানুষের পক্ষে কাজ করতে হবে,অন্যদিকে হায়না ও খুনি স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও এবং তাদের দোসদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক এমপি আবুল খায়ের ভূইয়া, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, জেলা বিএনপি নেতা  এডভোকেট হাসিবুর রহমান,এডভোকেট হাফিজুর রহমান, মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজসহ হাজারো নেতাকর্মী।

এর আগে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে খন্ডখন্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর এ্যানীর বাসভবনের সামনে গিয়ে জড়ো হয়। পরে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও আবুল খায়ের ভূইয়ার নেতৃত্বে একটি বনার্ঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়কে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।


শেয়ার করুন

আরও পড়তে পারেন..