মুক্তিকন্ঠ

ভয়েস অফ ফ্রিডম ফাইটার ১৯৭১

লক্ষ্মীপুরে তিন শিক্ষার্থী হত্যাসহ চার মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

শেয়ার করুন

মোহাম্মদ হাছান,লক্ষ্মীপুর,

লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান, ওসমান গনি ও সাব্বির হোসেন এবং পুলিশের দায়ের করা বিস্ফোরকসহ চার মামলায় ছাত্রলীগ নেতা মারুফ হোসেন সুজনকে গ্রেফতার করছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত মারুফ হোসেন সুজন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও দালাল বাজার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সে সদর উপজেলা কামানখোলা এলাকার নুর মোহাম্মদ চৌধুরীর ছেলে।

মঙ্গলবার ভোররাতে স্থানীয়রা কামানখোলা এলাকা থেকে মারুফ হোসেন সুজনকে গেনধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করে। পরে পুলিশ তাকে তিন শিক্ষার্থী হত্যা মামলাসহ চার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করে। মারুফ হোসেন সুজন জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও অপসরানকৃত একেএম সালাউদ্দিন টিপুর ঘনিষ্টজন বলে পরিচিত রয়েছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল মোন্নাফ বলেন, মারুফ হোসেন সুজন  তিন শিক্ষার্থী হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের মামলাসহ চার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা  হয়েছে। এছাড়া অন্য আসামীদের গ্রেফতার অভিযান চলছে।

উল্লেখ্য, ৪ আগষ্ট বেলা ১১টার দিকে সারাদেশের মতো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে উত্তাল ছিল পুরো লক্ষ্মীপুর। মিছিলে মিছিলে মুখরিত ছিল পুরো শহর। হঠাৎ আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা উত্তর তেমুহানী থেকে একটি মিছিল নিয়ে ঝুমুর চত্ত্বরের দিকে যাচ্ছিলো। এসময় ছাত্র আন্দোলকারীদের মিছিলের ওপর হামলা চালানো হয়। পাল্টা প্রতিরোধে চেষ্টা করে নিরস্ত্র শিক্ষার্থীরা। এসময় জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের  অপসারনকৃত চেয়ারম্যান একেএম সালাউদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে মুহুমুহু গুলি ছুড়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এর জের ধরে ফুসে উঠে শিক্ষার্থীরা। মিছিল নিয়ে বাজারের দিকে এগোতে থাকে তারা। শহরের তমিজ মার্কেট এলাকায় পৌছলে নিজ বাসভবনের ছাঁদ থেকে প্রকাশ্যেই সালাউদ্দিন টিপু ও তার সহযোগিরা শিক্ষার্থীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ  হয়ে সাদ আল আফনান, ওসমান গনি ও সাব্বির হোসেনসহ চার শিক্ষার্থী নিহত।

এসময় তিন শতাধিক গুলিবিদ্ধসহ আহত হয় কমপক্ষে ৫শ বেশি শিক্ষার্থী। এঘটনায় হত্যাসহ একাধিক মামলা দায়ের করা হয়। আর এসব মামলায় আওয়ামীলীগ,যুবলীগসহ অঙ্গসংগঠনের হাজারো নেতাকর্মীদের আসামী করা  হয় । এসব ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত ছিল গ্রেফতারকৃত মারুফ হোসেন সুজন।


শেয়ার করুন