মুক্তিকন্ঠ

ভয়েস অফ ফ্রিডম ফাইটার ১৯৭১

লক্ষ্মীপুরে সরকারী জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান

শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর-ঢাকা মহাসড়কের দু’পাশে ও দালালবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

রবিবার (২৯ডিসেম্বর)  সকাল ১০টা থেকে দালালবাজার এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার।

এ সময় পুলিশ সুপার আকতার হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরচিালক মো. জসিম উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জামশেদ আলম রানা, সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সদর থানার ওসি মো. আবদুল মোন্নাফসহ জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ অভিযান চলবে আগামী এক সপ্তাহ ধরে। পরে পর্যায়ক্রমে প্রত্যেকটি উপজেলায় অভিযান শুরু করার কথা বলেন জেলা প্রশাসক। প্রথম দিনে দালালবাজারে প্রায় পাঁচ শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

এর আগে এক সপ্তাহ সময় দিয়ে জেলা প্রশাসন ও সড়ক জনপথ বিভাগ থেকে সরকারি জায়গা থেকে স্থাপনা সরিয়ে নিতে মাইকিং করা হয়। সময়সীমা শেষে আজকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। প্রথম দফায় দালালবাজার থেকে চন্দ্রগঞ্জের পূর্ব বাজার পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এরপর রায়পুর-রামগঞ্জ ও রামগতি এবং কমলনগর উপজেলায় অভিযান চালানো হবে। স্থানীয় ব্যবসায়ী পারভেজ হোসেন ও মাসদু আলমসহ অনেকেই বলেন, উচ্ছেদের পর যেন আবারো নতুন করে স্থাপনা তৈরি করতে না পারে, সেটা প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই এ উচ্ছেদ অভিযান বাস্তবায়ন হবে। দীর্ঘদিন ধরে সড়কের দু’পাশে অবৈধ স্থাপনা থাকায় একদিকে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে।

পুলিশ সুপার আকতার হোসেন বলেন, সড়কের দু’পাশে দখল করে ব্যবসা-বাণিজ্য করার কারণে দীর্ঘ যানজেটর সৃষ্টি হয়। সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। তাই উচ্ছেদ অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক রাজিব কুমার সরকার বলেন, সপ্তাহব্যাপী উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। সড়ক ও জনপথ, পানি উন্নয়ন বোর্ড বা জেলা প্রশাসনের কোনো সম্পত্তিতে কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকবে না। যত বহুতল ভবন বা স্থাপনা হয়েছে সব উচ্ছেদ করা হবে। এ উচ্ছেদ কার্যক্রমে সহযোগিতা করছেন জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে আ্‌ইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি প্রত্যেকটি বিভাগের কর্মকর্তারা রয়েছে। প্রথম দফায় দেড় হাজার স্থাপনা উচ্ছেদ শেষে দ্বিতীয় দফার কাজ শুরু হবে।


শেয়ার করুন