মুক্তিকন্ঠ

ভয়েস অফ ফ্রিডম ফাইটার ১৯৭১

লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ২৪০ জনের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন, ৩০জনের পদত্যাগ

সভাপতি আরমান, সদস্য সচিব রাফি

শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটি গঠন করা করেছে। ২৪০ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয়  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।  পর্যায়ক্রমে অন্য উপজেলা গুলোতেও কমিটি গঠন করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন লক্ষ্মীপুর জেলা।
সংবাদ সম্মেলনের একাংশ
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) রাত আটটার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটি প্রকাশ করা হয়। কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে হাসনাত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেলের স্বাক্ষর রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলায় আগামী ছয় মাসের জন্য এই আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। ঘোষিত এই কমিটির আহ্বায়ক লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মো. আরমান হোসেন, সদস্যসচিব  মো:  সাহেদুর রহমান রাফি। মূখ্য সদস্য সচিব বেলায়েত পাটওয়ারী, মূখ্য সংগঠক সাইফুল ইসলাম মুরাদ, সংগঠক আবদুল মান্না, মুখ্য পাত্র বাইজিদ হোসাইন, সদস্য নাজমুল হোসাইন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে গত ১ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে টানা আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন একপর্যায়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। সেই আন্দোলনে অবসান ঘটে আ’লীগের দীর্ঘ শাসনের পর।
অপরদিকে এই কমিটি ঘোষনার পর বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দেয় চরম ক্ষোভ ও হতাশা। কমিটি বাতিলের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্র আন্দোলনের একাংশ। সোমবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের হলরুমে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান কমিটিতে যুগ্ম সদস্য সচিব আবদুর রহিম ও  মেহেদী হাসান নিরব অভিযোগ করেন বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জুলাই-আগষ্ট যারা জীবন-বাজি রেখে মাঠে ময়দানে ছিল। তাদেরকে মূল্যায়ন না করে অন্য জেলার লোকদের কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে। এছাড়া বর্তমান কমিটির আহবায়ক আরমান হোসাইন নোয়াখালী জেলার বাসিন্দা। পাশাপাশি সেই লক্ষ্মীপুর সরকারী কলেজের শিবিরের সভাপতি ছিলেন। কিন্তু এই কমিটিতে সাধারন ছাত্রদের না রেখে শিবিরের কমিটি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
তাই ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই কমিটি বাতিল করে যোগ্য ছাত্রদের দিয়ে নতুন কমিটি করার আহবান জানান। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০জন নেতা পদত্যাগ করেছেন। এটি আরো বাড়বে বলে জানান তারা। অন্যাথায়  ছাত্র-জনতা নিয়ে পাল্টা কমিটি করার ঘোষনা দেন সংবাদ সম্মেলনে। এসময় উপস্থিত ছিলেন কমিটিতে স্থান পাওয়ায় যুগ্ম- সদস্য সচিব মেহেদী হাসান হাসিব, মতিউর আরিফ,ইকরাম মাহমুদ ফাহাদ ও সাকিবুল আলমসহ ৩০জন।
আহ্বায়ক আরমান বলেন, শিগগিরই আহ্বায়ক কমিটি বর্ধিত করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। ভুয়া সমন্বয়ক পরিচয়ে কেউ যাতে অপকর্ম করতে না পারেন, সেই চিন্তা থেকে তাঁরা সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠন করেছেন। সেই লক্ষ্যে এই আহ্বায়ক কমিটি কাজ করবে। কমিটির প্রধান লক্ষ্যগুলোর মধ্যে থাকবে গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে সংগঠিত করা ও মুজিববাদীদের সব অপতৎপরতার মূলোৎপাটন করা। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে তিনি বলেন, একটি গোষ্টি বর্তমান এই কমিটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এসব কথাবার্তা বলছেন। জুলাই-আগষ্টে যারা মাঠে ছিলেন,তাদের দিয়ে কমিটি করা হয়েছে। এটি চমৎকার একটি কমিটি হয়েছে। আগামীতে এই কমিটির মাধ্যমে ছাত্র-জনতা তাদের অধিকারের জন্য কাজ করবে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

আরও পড়তে পারেন..