মুক্তিকন্ঠ

ভয়েস অফ ফ্রিডম ফাইটার ১৯৭১

ফ্যাসিস্টদের কোন ঝটিকা মিছিল করতে দেয়া হবেনা লক্ষ্মীপুরে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী

শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী

শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি অভিযোগ করে বলেন, অতীতে দেশে একদলীয় এক ব্যাক্তির শাসন ছিল। যারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করছে। যাদের মধ্যে কর্তৃত্ববাদী শাসন ছিল। যারা শাসন ও শোষনের ভূমিকা অবতীর্ণ ছিল। তাদের একদিকে ছিল হেলমেট বাহিনী,অন্যদিকে ছিল সন্ত্রাসী কায়েদায় এক ব্যক্তির নিয়ন্ত্রন। গুম,খুন নির্যাতনের শিকার ছিল হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ। আর এসব অত্যাচার-নির্যাতনের মূল ছিল ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা ও তার দোসরা। বিএনপি ও সাধারন মানুষ হাসিনার পতনের জন্য একত্রিত হয়ে মাঠে নেমেছে। আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে খুনি হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার দোসরারা এখনো ঝাপটি মেরে বসে আছে। দেশের বিরুদ্দে নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে।
আজ শনিবার দুপুরে শহরের বশির ভিলা মিলনায়তনে লক্ষ্মীপুর পৌরসভা, সদর পূর্ব,চন্দ্রগঞ্জ থানা যুবদলের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন.৫ আগষ্টের পর দেশে স্বাভাবিক রাজনীতির পরিবেশ রয়েছে। এদেশে স্বাভাবিক রাজনীতি চলবে। আর স্বাভাবিক রাজনীতি করতে হলে নেতৃত্বের গুনগত পরিবর্তন দরকার। ইতিমধ্যে দেশনেত্রীর আপসহীন নেতৃত্বে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জনপ্রিয়তার পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যোগ্য লিডারশিপের কারনে বর্তমানে বিএনপি একটি জনপ্রিয় দল হিসেবে প্রমানিত হয়েছে। বিএনপির রয়েছে দেশ চালানো ও দলীয় অভিজ্ঞতা। যেটা অন্য কারো আছে কিনা জানা নেই।
এসময় শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি আরো বলেন, ঢাকাতে ফ্যাসিবাদের ঝটিকা মিছিল হচ্ছে। হঠাৎ করে ঝটিকা মিছিল করে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। দেশে ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে আ’লীগ আবার কিন্তু ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ তৈরি করবে। একটা ভয়ংকর ফ্যাসিবাদ তৈরি করতে চাইবে। এ সুযোগ দেশের মানুষ আর কখনো দিবে না, দিতে চায়না।  দেশে আর কোন ঝটিকা মিছিল করতে দেয়া হবেনা। সেজন্য এই সরকারকে আরো বেশি তৎপর হতে হবে। এরা যারা অপরাধী, ষড়যন্ত্রকারী, খুনি, রক্তের দাগ এখনো শুকায় যায়নি, তারাই অপকর্মগুলো করতেছে। যেটা হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৬-১৭ বছর হয়েছে। এরা গণশত্রু ছিল, জনশক্তিতে পরিণত হয়েছিল। গণশত্রু ছিল বলেই পালিয়ে গেছে। হাসিনা পালিয়ে গেছে ঠিকই, কিন্তু হাসিনার অর্থ পালাইনি। সবাইকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে?
তিনি আরো বলেন, ৫ তারিখে সারাদেশে থানা থেকে যেসব অস্ত্র লুট হয়েছে। এখন পর্যন্ত অবৈধ ও লুট হওয়া সেসব অস্ত্র উদ্ধার হয়নি।   আইনশৃঙ্খলার অবনতি তো স্বাভাবিক কারণেই হবে।  এ অস্ত্রগুলো তারা আবার ব্যবহার করবে না? লুটের অস্ত্র এবং অবৈধ অস্ত্র দুটো মিলে তারা কিন্তু শক্তি সঞ্চয় করতে চায়। কিন্তু এ সুযোগ এ সরকার দিতে পারবে না। কারণ আমাদের আন্দোলনের ফসল এ সরকার। এজন্যই সরকারের কাছে আমাদের দাবি বেশি প্রত্যাশা বেশি। অবিলম্বেই এ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। অস্ত্র যদি উদ্ধার না হয় এই অস্ত্র আমাদের বিরুদ্ধে আবার ব্যবহার হবে। আমরা প্রশাসনের কাছে যা বলি, প্রশাসন এখন পর্যন্ত সেটা করছে না। এখন পর্যন্ত বিচার কিন্তু দৃশ্যমান না। দ্রুত বিচার করতে হবে। হাসিনার পরিবারের যারা এই দুঃশাসন, দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিল, যারা ওয়ার্ড, ইউনিয়ন পর্যায়ের গডফাদার হিসেবে চিহ্নিত ছিল। মানুষের অত্যাচার, নির্যাতন, দুঃশাসন তৈরি করেছিল। তাদের বিচারও দৃশ্যমান করতে হবে। আমাদের জনগণের স্পষ্ট বক্তব্য হলো আমরা দ্রুত দৃশ্যমান বিচার দেখতে চাই। আরেক দিকে সংস্কারও দেখতে চাই। নির্বাচনের জন্য সংস্কার খুব জরুরী।
চন্দ্রগঞ্জ থানা যুবদলের আহবায়ক এনায়েত উল্যাহর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দীন সাবু, জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক এডভোকেট হাসিবুর রহমান, জেলা যুবদলের সভাপতি রেজাউল করিম লিটন, সদস্য সচিব আবদুল আলিম হুমায়ুন,সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন, পৌর যুবদলের আহবায়ক ফয়েজ আহমেদ, সদর পূব যুবদলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা যুবদল নেতা সৌরভ হোসেন ভুলু, জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক সামছুল আলম মামুন ও মুনছুর আহমেদ প্রমুখ।

শেয়ার করুন