মুক্তিকন্ঠ

ভয়েস অফ ফ্রিডম ফাইটার ১৯৭১

চন্দ্রগঞ্জে নকল ঔষুধ বিক্রয়: রাসেল ফার্মেসীর উপর ঔষুধ সমিতির নিষেধাজ্ঞা

শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
চন্দ্রগঞ্জে নকল ঔষুধ মজুদ, সরবরাহ ও বিক্রয়ের জন্য রাসেল মেডিকেল হলের (রাসেল ফার্মেসী)  উপর ব্যবসায়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চন্দ্রগঞ্জ ঔষুধ ব্যবসায়ী সমিতি।
চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিম বাজারের রাসেল মেডিকেল হলের মালিক রাসেল করিম নকল ও ভেজাল ওধুষ বিক্রি করে পুলিশে ধরা পড়ার পর তার সাথে সকল প্রকার ব্যবসায়ীক কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বাজারের সকল ঔষুধ ব্যবসায়ীকে লিখিত নোটিশ দিয়েছে চন্দ্রগঞ্জ ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতি ৷ এছাড়াও সকল ব্যবসায়ীকে রাসেল মেডিকেল হলের সাথে সকল প্রকার ব্যবসায়িক লেনদেন করতে নিষেধ করেন।
গত ১৩ মে চন্দ্রগঞ্জ ঔষুধ ব্যবসায়ী সমিতির এক জরুরী সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সমিতির সাধারন সম্পাদক গোলাম মাওলা মানিক। বিষয়টি মঙ্গলবার বাজারের সকল ব্যবসায়ীর নিকট নোটিশ আকারে পৌছে দেয় সমিতির দায়িত্বশীলরা।
দীর্ঘদিন থেকে চন্দ্রগঞ্জ বাজারে নকল ঔষুধ বিক্রয় করার অভিযোগ পাওয়া যায় রাসেল মেডিকের হলের রাসেলের বিরুদ্ধে। জানাযায় দেখতে একই রকম বিভিন্ন কোম্পানীর ভেজাল ঔষুধ বিক্রয় এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষুধ বিক্রয় করে আসছে রাসেল মেডিকেল হল বা রাসেল ফার্মেসীর মালিক রাসেল করিম।
এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী হচ্ছে যথাযথ নজরদারির অভাব, দুর্নীতি, এবং কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর লোভ। যদিও সরকার ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মাধ্যমে মাঝে মাঝে অভিযান পরিচালনা করে থাকে, তবুও এটি পর্যাপ্ত নয়।
জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ এবং আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এই ভয়াবহ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। নকল ওষুধ প্রতিরোধে এখনই সময় ব্যবস্থা নেওয়ার। নকল ওষুধ চেনা সাধারণ মানুষের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। এর মোড়ক, রঙ, গন্ধ, এমনকি কোম্পানির নামও প্রায় হুবহু মূল ওষুধের মতোই থাকে। এতে রোগীরা সহজেই বিভ্রান্ত হয়। চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ সঠিকভাবে সেবন করার পরও যদি রোগ ভালো না হয় বা অন্য সমস্যা দেখা দেয়, তখন বুঝা যায় ওষুধটি ভেজাল ছিল।
রাসেল করিম মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে জানান, আমি আসলে নকল এবং আসল ঔষুধ সম্পর্কে অবগত ছিলাম না। অপসোনিন ফার্মা কোম্পানীর ফিনিক্স নামের  একটি নকল ঔষুধ আমি ভুল বশত ক্রয় করি ।  রাসেল চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের আমানী লক্ষ্মীপুর গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছেলে।
লক্ষ্মীপুর জেলা ঔষুধ তত্ত্ববধায়ক অফিসের তত্ত্বাবধায়ক ডালিম চন্দ্র দাস বলেন, এই বিষয়ে আমরা কোন লিখিত অভিযোগ পাই নি, অভিযোগ পেলে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিব। তিনি আরো বলেন, যেহেতু আমরা এই বিষয়ে অবগত হয়েছি, বিষয়টি আমরা আরো খতিয়ে দেখছি।

শেয়ার করুন