মুক্তিকন্ঠ

ভয়েস অফ ফ্রিডম ফাইটার ১৯৭১

লক্ষ্মীপুর চন্দ্রগঞ্জে আধিপত্যের জেরে সন্ত্রাসী ফাইটার বাবলুকে কুপিয়ে হত্যা

শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরে মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও নানা অপকর্মের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে শীর্ষ সন্ত্রাসী কধু আলমগীরের সহযোগী আজাদ হোসেন বাবলু (৪০) প্রকাশ ফাইটার বাবলুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফয়জুল আজীম।

সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টা দিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন উত্তর জয়পুর ইউপির চৌপল্লী থেকে হানিফ মিয়াজীর হাট  সড়কের মাঝ পথে  মিদ্দা বাড়ির সামনের রাস্তার উপরে ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা জানায় রাত আনুমানিক ৩টার দিকে আমরা শোর চিৎকার শুনতে পাই। পরে সকালে এসে দেখি কে বা কাহারা বাবলুর মাথায় এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। এই ঘটনার খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ার পরেই এলাকাবাসীর মাঝে স্বস্তি দেখা যায়। অনেকে বলেন, সে এলাকায় এমন কোন অপকর্ম নেই যে সে করত না। তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।

জানাযায়,  গত ০২ মাস মাস আগে আজাদ হোসেন বাবলু প্রকাশ ফাইটার বাবলু  মাদক মামলায় চন্দ্রগঞ্জ থানা  পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান ।  গত  কিছুদিন আগে আগে সে কারাগার হইতে জামিনে বের হয়,  জামিনে এসে বিভিন্ন সন্ত্রাসী  কর্মকাণ্ড ও মাদক বিক্রির কাজে জড়িত হয়ে পড়ে।  এরই ধারাবাহিকতায় ০৯ নং উত্তর জয়পুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী কদু আলমগীরের প্রতিদ্বন্ধী গ্রুপের একজন কে  গত ০১লা জুন  উত্তর জয়পুর এর শীর্ষ সন্ত্রাসী  মৃত শামীম চেয়ারম্যানের সহযোগী সুমন প্রকাশ বেলজিয়াম সুমনকে মাদকসহ আজাদ হোসেন বাবলু  প্রকাশ ফাইটার বাবলুসহ তার সহযোগীরা দত্তপাড়া তদন্ত কেন্দ্রে পুলিশের নিকট ধরিয়ে দেয় বলে জানা যায়। এই হত্যা তারই সূত্রপাত বলে এলাকাবাসী  মনে করেন।

ফাইটার বাবলু ০৯নং উত্তর জয়পুর ইউপির ৪ নং ওয়ার্ডস্থ ভূঁইয়া বাড়ির মৃত মোস্তফা ভূঁইয়ার ছেলে। স্থানীয়ভাবে জানাযায় আজাদ হোসেন বাবলু @ ফাইটার বাবলু এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী কদু আলমগীরের সহযোগী ও মাদক বিক্রেতা, সেবনকারী, এলাকায় মারামারি, লুটপাটসহ অনেক অপকর্ম সাথে জড়িত। তাহার বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে । 

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফয়জুল আজীম বলেন, ‘ফাইটার বাবলুর হত্যা কান্ডের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যাই। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করি। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, গত কয়েকমাস আগে তাকে মাদক মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়, জামিনে এসেই সে মাদক কারবারসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে।  এই হত্যাকান্ডের বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের জন্য।’


শেয়ার করুন