লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দা পুলিশ সদস্য (নায়েক) সাইফুলকে পাওয়া গেছে, তবে জীবিত নয় মৃত অবস্থায় তাকে পাওয়া গেছে।
সোমবার বিকেল ৫টার দিকে তার মরদেহ ভেসে ওঠে চানন্দী ইউনিয়নের দরবেশ বাজারের পার্শ্ববর্তী করিমবাজার ঘাটের দক্ষিণের চরে। এ ঘটনায় সাইফুলের সহকর্মী, এলাকায় ও পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিখোঁজ পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার চরশাহী গ্রামের গোপাল বাড়ির মো. সিরাজুল ইসলামের একমাত্র ছেলে। বর্তমানে তিনি নোয়াখালী জেলা পুলিশ লাইনসে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, চানন্দী ইউনিয়নের দরবেশ বাজারের দক্ষিণে চরের সঙ্গে মেঘনা নদীর কিনারে ভাসমান অবস্থায় একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে ছবি উঠিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা তার সঙ্গে থাকা মোবাইলফোনের পেছনে থাকা নাম ঠিকানা দেখে পরিচয় নিশ্চিত করেছে।
এদিকে লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন চরশাহী গ্রামে সাইফুলের মৃত্যুর খবর জানার পর থেকে পুরো এলাকায় শোকের ছাড়া নেমে এসেছে। পরিবারের সবাই, এলাকাবাসী, বন্ধু মহলে সাইফুল ছিল সদালাপী একজন। সাইফুলের এমন মৃত্যু কেউই মেনে নিতে পারছে না।
জানা যায়, গত শনিবার (৩১ মে) দুপুর ৩টার দিকে ভাসানচর থেকে হাতিয়ার করিমবাজার ঘাটে যাওয়ার পথে যাত্রীবাহী একটি ট্রলার ডুবচরে পৌঁছালে হঠাৎ ফেটে গিয়ে উল্টে যায়। ট্রলারটিতে ৩৯ জন যাত্রী ছিলেন। তার মধ্যে মোট ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে গিয়াস উদ্দিন এবং রামগতি থেকে রোহিঙ্গা নারী হাসিনা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও রোহিঙ্গা শিশু নিখোঁজ রয়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফয়জুল আজীম বলেন, নায়েক সাইফুল ইসলামের নিঁখোজের সংবাদ পাওয়ার পর থেকে এসপি স্যারের নির্দেশনা মতে সাইফুলের বাড়িতে নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছি। সাইফুলের মৃত দেহ সনাক্তের খবর পাওয়ার পরও আমাদের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত আছে।
আরও পড়ুন
লক্ষ্মীপুর চন্দ্রগঞ্জে অভিযান, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ গ্রেফতার-১
চন্দ্রগঞ্জে ১১ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৪০ শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
চন্দ্রগঞ্জে পুলিশের পৃথক অভিযানে অস্ত্র, গুলি ও মাদকসহ গ্রেফতার-২