মুক্তিকন্ঠ

ভয়েস অফ ফ্রিডম ফাইটার ১৯৭১

পরিবর্তন প্রত্যাশীদের চেয়ারম্যান হিসেবে ১ম পছন্দ সাংবাদিক হাছান

চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ হাছান

শেয়ার করুন

মোহাম্মদ ফয়সাল, (প্রকাশক ও সম্পাদক)

বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় আমরা বড়ই আত্নকেন্দ্রিক। সবাই শুধু নিজেকে নিয়ে বাঁচি। এর মাঝেও কিছু লোক দেখি পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখে, সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাড়ায়, কার রক্ত লাগবে ব্যবস্থা করে দেয়, কে বিনা চিকিৎসায় ভুগতেছে তার খবর নিচ্ছে, রাতের আধারেও যাকে দেখা যায় অন্যের জন্য কাজ করতে বিনা স্বার্থে। বলছি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন ১০নং চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী সাংবাদিক মোহাম্মদ হাছানের কথা। এলাকায় খবর নিয়ে জানা তিনি তার প্রতি দিনের বেশির ভাগ সময় বিভিন্ন সামাজিক কাজে ব্যয় করেন লোক চক্ষুর অন্তরালে।

মোহাম্মদ হাছান স্থানীয় দেওপাড়া গ্রামের চন্দ্রগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং সর্বজন শ্রদ্ধেয়, প্রবীণ ব্যবসায়ী মরহুম জালাল আহম্মদ(জালাল দর্জি’র) মেজো ছেলে।

ব্যক্তি জীবনে মোহাম্মদ হাছান ২০০৪ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করে। চাকুরী থেকে অবসরে এসে তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত হোন। তিনি লক্ষ্মীপুরের মধ্যে অন্যতম “জাগো মানবতা ফাউন্ডেশন’র” সভাপতি। তিনি দৈনিক ডেসটিনির মাধ্যমে তার সাংবাদিকতা জীবনের শুরু করে। বর্তমানে তিনি প্রাইভেট ডিটেকটিভ এবং জাতীয় দৈনিক “দৈনিক ভোরের দর্পণে” কাজ করছেন। তিনি পেশাগত স্বচ্ছতার জন্য একটি আইটি (ইনফরমেশন টেকনোলজি) ব্যবসার সাথে জড়িত। তিনি চন্দ্রগঞ্জ বাজারের মধ্যে অন্যতম আইটি প্রতিষ্ঠান, যার মাধ্যমে হাজার হাজার যুবক বেকারত্ব গোছিয়ে বর্তমানে স্বাবলম্বী। তার প্রতিষ্ঠানের নাম “পপুলার কম্পিউটার এন্ড টেকনোলজি”।

এছাড়াও তিনি চন্দ্রগঞ্জ থানা এলাকার অন্যতম প্রাইভেট কলেজ “ক্যামব্রিজ সিটি কলেজ’র” রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগরে প্রভাষক হিসেবে গত ৩ বছর থেকে নিয়োগকৃত আছেন। চাকুরী জীবনে পড়ালেখা এবং বর্তমানে এত গুলো বিষয় কিভাবে পরিচালনা করছেন বলে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে কঠোর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত একজন সৈনিক। আমি আমার প্রতিটি কাজ সময়ানুবর্তিতা, অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণ  করে থাকি। আমি কঠিন  পরিশ্রম করে চাকুরীর পাশাপাশি এমবিএ শেষ করি যাতে আমি ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ  হই। যার স্বীকৃতি স্বরূপ আমর কলেজের চাকুরী।

 

চেয়ারম্যান হিসেবে কেন প্রার্থী হতে চান? প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন, নৈতিক অবক্ষয় থেকে বর্তমান তরুন সমাজকে শিক্ষামুখী ও বাস্তবমুখী করা। এছাড়াও আমি ইতোপূর্বে ১৫ পয়েন্টের আমার অঙ্গীকারনামা আমার ইউনিয়নবাসীর কাছে পৌছে দিয়েছি।

চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলে কি করবেন? প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি কখনোই জনগনের আমানতের খেয়ানত করব না। আর যেহেতু আমার নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আমার কোন বড় অংকের টাকার প্রয়োজন হয়নি বা  আমার বড় ধরনের কোন নির্বাচনী ব্যয়ও নাই, সেহেতেু আমার পুজি তোলার কোন চিন্তা থাকবে না। আর আরেকটি বড় বিষয় হলো আমি চেয়ারম্যান হলে নিজে কোটিপতি হব না আর আমি চেয়ারম্যান না হলেও আমি নিঃশেষ হয়ে যাব না।

আপনার ইউনিয়নবাসীর জন্য কি বলবেন? আমি আমার সম্মনিত ইউনিয়নবাসীকে বলব, ভোট আপনার সাংবিধানিক অধিকার। আপনি আপনার পছন্দমত প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন আপনার ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে। কোন দুস্কৃতিকারী যদি আপনার সামনে আসে সাথে সাথে প্রতিহত করবেন । বর্তমান সরকার এবং আইন শৃঙ্খলাবাহিনী তথা লক্ষ্মীপুর জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান পিপি এম (সেবা) মহোদয়ের সঠিক দিক নির্দেশনায় আমি শতভাগ নিশ্চিত একটি অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন হবে।


শেয়ার করুন