মোহাম্মদ হাছান, জেলা প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুরঃ
বিনা রশিদে হাট-বাজারের খাজনা আদায় করা যাবে না বলে জানান লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরান হোসেন। গত ০৭-০২-২০২২ইং তারিখে তাহার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।
একই তারিখে তিনি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলাধীন সকল হাট-বাজারের ১৪২৯ বাংলা সনের দরপত্র আহ্বান করেন। দরপত্রের সর্বশেষ পাতায় “১৪২৯ বাংলা সনের হাট-বাজার ইজারার শর্তাবলী” শিরোনামে বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করা হয়।
যেখানে উল্লেখ থাকে ৭নং পয়েন্টে, সরকার অনুমোদিত টোল রেইট মোতাবেক টোল আদায় করতে হবে। বিনা রশিদে টোল আদায় করা যাবে না। ইজারাদার নিজ খরচে বাজারের দৃশ্যমান একাধিক স্থানে টোল চার্ট টানিয়ে দিবেন।
৯নং পয়েন্টে উল্ল্যেখ করা হয়, ইজারাদার কোন ক্রমেই হাট-বাজার অন্যের নিকট সাব-লীজ দিতে পারবেন না। যদি অনুরুপ কোন প্রকার কার্যকলাপ পরিলক্ষিত হয় অথবা চুক্তিপত্রের শর্ত লংঘন করা হয় তা হলে ইজারা বাতিল বলে গন্য হবে।
১১নং পয়েন্টে উল্লেখ করা হয়, ইজারাদার নিজ খরচে বাজার পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন।
অথচ উপরের কোন পয়েন্টই চন্দ্রগঞ্জ বাজারে কার্যকর নেই। বাজারের মালী বাজার পরিস্কার করে প্রতি হাটে বাজার থেকে টাকায় উঠায়। কোন ব্যবসায়কে টোলের রশিদ প্রদান করা হয় না, প্রকাশ্য বা অপ্রকাশ্য কোন স্থানেই টোলের চার্ট টানানো নেই। এছাড়াও সরকার নির্ধারিত টোল রেইটের কয়েক গুণ বেশি হারে চন্দ্রগঞ্জ বাজারে খাজনা আদায় করা হয়।
বাজারের ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের ব্যাপরে গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনেকে আবার ব্যবসা ছেড়ে দিবেন বলে জানায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানান, এভাবে যদি খাজনা বাড়ানো হয়, তাহলে আমরা কত টাকা ব্যবসা করব আর কত টাকা খাজনা দিব?? অনেক ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের কর্তৃপক্ষরা এগুলো কি দেখে না?
সরকারী রেইটে, টোল রশিদসহ খাজনা দিতে চান চন্দ্রগঞ্জ বাজারের ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। (চলমান…..)
আরও পড়ুন
লক্ষ্মীপুরে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বীরমুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল’র ইন্তেকাল
রাজনৈতিক ইমেজ ক্ষুণ্ণ করার জন্যই মাহফিল বন্ধের প্রোপাগান্ডা–শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী
লক্ষ্মীপেুরে ৩৭জন আইনজীবিকে সরকারী আইন কর্মকর্তা-সরকারী কৌঁসুলি(জিপি)সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ