মুক্তিকন্ঠ

ভয়েস অফ ফ্রিডম ফাইটার ১৯৭১

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতা অধ্যক্ষের নেতৃত্বে প্রতিবন্ধীকে মারধর ও বসত থেকে উচ্ছেদ

ভূক্তভোগী আব্দুল কুদ্দুছ ও তার স্ত্রী মরিয়ম

শেয়ার করুন

মুক্তিকন্ঠ ডেস্কঃ
লক্ষ্মীপুরে পুলিশের সহায়তায় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষের নেতৃত্বে প্রতিবন্ধী বাড়ির মালিককে মারধর করে বাড়ি ঘর দখল করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়াগেছে।

শনিবার সকালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিরপাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হামলাকারিদের রডের আঘাতে বাড়ির মালিক প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ হাজী আব্দুল কুদ্দুছ (৭৫) ও তার স্ত্রী মরিয়ম (৬০) আহত হয়েছে। হামলাকারিরা তাদের ঘরে থাকা মালামাল গুলো বাড়ির সম্মুখে হাজির পাড়া-চৌপল্লী সড়কে ফেলে দিয়েছে। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করেছে।
জানাযায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজির পাড়া ইউনিয়নের হাজির পাড়া চৌপল্লী সড়কে অবস্থিত রোকেয়া মঞ্জিল ভাড়া নিয়ে আল বাশার একাডেমী নামে একটি প্রাইভেট স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন জামায়াত নেতা সামছুল হুদা। পরবর্তীতে সে প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ বাড়ির মালিক হাজী আব্দুল কুদ্দুছ থেকে নানা চলচাতুরতা করে ১৪ শতাংশ জমি রেজিষ্ট্রী করে বৃদ্ধের ২১ শতাংশের বাড়িটি পুরো দখলে নিয়ে যায়। এ নিয়ে আব্দুল কুদ্দুছ জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করে। সম্প্রতি বৃদ্ধ আব্দুল কুদ্দুছ তার অবিক্রিত অংশের একটি পরিত্যাক্ত দালানে এসে তার স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করে আসছে।
শনিবার সকালে চন্দ্রঘঞ্জ থানার এস আই আব্দুল আউয়ালের উপস্থিতিতে আল বাশার একাডেমীর অধ্যক্ষ জামায়াত নেতা মাওলানা মাহি উদ্দিনের নেতৃত্বে বিদ্যালয়ের ভ্যান চালকরা তাদের মারধর করে ঘর থেকে বেরকরে দেয় এবং তাদের ঘরে থাকা সমুদয় মালামাল বিদ্যালয়ের সামনে হাজির পাড়া-চৌপল্লী সড়কে ফেলে দেয়। ঘটনার পরপরই অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠান থেকে অন্যত্র চলে যায়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তহিদুল ইসলাম জানান, তিনি হামলার ঘটনা জানেননা। তবে অধ্যক্ষ তাকে জানিয়েছেন বৃদ্ধ আব্দুল কুদ্দুছ নিজ থেকে বাড়িটি ছেড়ে দিয়েছেন। হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে থাকলে তারা থানায় মামলা দায়ের করতে পারেন। চন্দ্রগঞ্জ থানার এস আই আব্দুল আউয়াল তাকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। অপর দিকে আল বাশার একাডেমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মহিউদ্দিন মুঠোফোনে জানান, তারা বৃদ্ধকে ঘর থেকে উচ্ছেদ করেননি, চন্দ্রগঞ্জ থানার এস আই আব্দুল আউয়াল তাকে মালামাল সহ ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন। এস আই আব্দুল আউয়াল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন তিনি ঘটনার পরে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।


শেয়ার করুন