মুক্তিকন্ঠ

ভয়েস অফ ফ্রিডম ফাইটার ১৯৭১

লক্ষ্মীপুরে হত্যার ২৫ বছর পর দুই আসামীর যাবজ্জীবন সাজা

শেয়ার করুন

মুক্তিকন্ঠ ডেস্কঃঃ

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মোশাররফ হোসেন নামে এক তহসিলদারকে কুপিয়ে হত্যার ২৫ বছর পর হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুই আসামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রামগতি চর সেকান্দর গ্রামের আবদুল গোফরানের ছেলে মো. ইদ্রিস ওরফে কালা ও এবাদ উল্যার ছেলে মো. চৌধুরী বকত। রায়ে ওই মামালর ৭ আসামীকে খালাস দেওয়া হয়।

রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের বিচারক দন্ডপ্রাপ্তদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। রায়ের পর আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত আসামীদের স্বজনেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়।

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্র জানায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে রামগতির চর সেকান্দর গ্রামের বাসিন্দা মৃত দ্বারা বক্স মাঝির দুই ছেলে আবদুল গোফরান ও মোশাররফ হোসেন তহসিলদারের সাথে বিরোধ দেখা দেয়। এর সূত্র ধরে ১৯৯৮ সালের ১৭ জুলাই সকালের দিকে আবদুল গোফরান ও তার ছেলে মো. ইদ্রিস ওরফে কালাসহ তার অন্য ছেলেরা মিলে মোশাররফ তহসিলদারকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তাকে উদ্ধার করে জেলা শহরের আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় ওইদিন মোশাররফ তহসিলদারের ছেলে আবুল হাসান চৌধুরী ওরফে রাশেদুল আলম বাদি হয়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে রামগতি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসমী করা হয়- মোশাররফ তহসিলদারের ভাই আবদুল গোফরান ও তার ৫ ছেলে মো. ইদ্রিস ওরফে কালা, মো. ইউনুস মিয়া, মো. ইসমাইল, খুরশিদ আলম ও মো. রাশেদ এবং তাদের আত্মীয় মো. চৌধুরী বকত, নুরুল আমিন, মমিন উল্যা, মো. ইস্রাফিল, আবদুল করিম ও জসিম উদ্দিন। এরা সকলে রামগতির চর সেকান্দর গ্রামের বাসিন্দা।

১৯৯৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে এ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন সে সময়ের রামগতি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সালাহ উদ্দিন আল মাহমুদ। এতে মামলার ১ নম্বর আসামী মো. ইদ্রিস ওরফে কালাকে প্রধান অভিযুক্ত ৬ জনের নামে অভিযোগপত্র দেন তিনি।

জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ শুনানি শেষ সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে আদালত দুই আসামীর সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় এবং প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন।


শেয়ার করুন