মুক্তিকন্ঠ ডেস্কঃ
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ইউনিয়ন আ’লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ, সাংবাদিকসহ আহত প্রায় ২০ জন।
বুধবার (৮ মার্চ) মাগরিবের পরে চন্দ্রগঞ্জ বাজাররের আফজাল রোডে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি নবগঠিত কমিটি সমর্থিত তৃণমূল আ’লীগ গ্রুপ এবং কাজী বাবলু গ্রুপের মধ্যে ঘটে।
দীর্ঘদিন মেয়াদোর্ত্তীর্ণ হওয়ার পর গত ৭মার্চ চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আ’লীগের নতুন নের্তৃত্বের জন্য চন্দ্রগঞ্জ থানা আ’লীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী ও সাধারন সম্পাদক আব্দুল ওহাব স্বাক্ষরিত একটি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয় যা অনুমোদন হয় ৩রা মার্চ। তালিকা প্রকাশের পর পরই আ’লীগের অধিকাংশরাই খুশি হলেও কাজী বাবলু সমর্থিত গ্রুপের নেতা কর্মীরা সন্তুষ্ট হতে পারে নি। ফলে ৭ তারিখে সন্ধ্যায় কাজী বাবলু গ্রুপ একটি প্রতিবাদ মিছিল করে চন্দ্রগঞ্জ বাজারে। যদিও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আনন্দ মিছিল করার কথা ছিল, কিন্তু প্রতিবাদ মিছিলের কারনে তারা পরের দিন আনন্দ মিছিল করার ঘোষণা দেয়।
এদিকে আনন্দ মিছিল ঘোষণার পরই কাজী বাবলু গ্রুপ আবার একই দিন বিকাল ৩টায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করার ঘোষণা দেয়। পরে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের উপস্থিতিতে কাজী বাবলু গ্রুপ মিছিল শেষ করে চলে যায় সন্ধ্যার আগেই। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির পক্ষের নেতা কর্মীরা বিশাল একটি আনন্দ মিছিল বের করে মাগরিবের পরে। মিছিল শেষ করে আফজাল রোডের সামনে তারা বক্তব্য প্রদান করে। এমন সময় আফজাল রোডের উত্তর দিক থেকে কাজী বাবলু সমর্থিত চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এম. মাসুদের নের্তৃত্বে একটি মিছিল আসে, তখনই দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে যায়। এতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) জাকির হোসেন, এসআই আব্দুর রহিম, কনস্টেবল মোজাম্মেল আহত হয় । সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আলাউদ্দিন নামে স্থানীয় এক সংবাদকর্মী পুলিশের কাছে লাঞ্ছনার স্বীকার হয়। এছাড়াও আরো অনেকে ঘটনাস্থলে আহত হয় এবং কয়েকজনকে জেলা সদর হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়।
ইউনিয়ন আ’লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক কামাল হোসেন জানান, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল শেষ করে বক্তব্য দিচ্ছি, এমন সময় এম. মাসুদ একটি মিছিল নিয়ে এসে আমাদের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে পরবর্তীতে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, ওসি সাহেব তাদের কোন লোককে গ্রেফতার না করে এককভাবে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সাধারন সম্পাদক ও চন্দ্রগঞ্জ ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম শিফনসহ আমাদের ৭/৮জনকে গ্রেফতার করে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আধিপত্য বিস্তার ও কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
ঢাকার সমাবেশে যোগ দিলে মিলবে লাখ টাকা, সুদ মুক্ত ঋণ, লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকামুখী শতাধিক নারী-পুরুষ আটক
গণহত্যার জন্য ক্ষমা না চেয়ে দেশের মানুষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে স্বৈরাচার আ’লীগ, হুমকি-ধমকি দিয়ে লাভ নেই, বিচার হবেই – এ্যানী
লক্ষ্মীপুরে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বীরমুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল’র ইন্তেকাল