মুক্তিকন্ঠ

ভয়েস অফ ফ্রিডম ফাইটার ১৯৭১

লক্ষ্মীপুরে টাকা চাওয়ায় সহোদর দুই ব্যবসায়িকে পিটিয়ে আহত

লক্ষ্মীপুর ম্যাপ

শেয়ার করুন

মুক্তিকন্ঠ ডেস্কঃ
লক্ষ্মীপুরে দই বিক্রির টাকা চাওয়ায় কনফেকশনারী ব্যবসায়ি তারেক ও তার সহোদর ভাই চা দোকানদার ফারুককে দফায় দফায় পিটিয়ে আহত করেছে স্থানীয় চেয়ারম্যানের অনুগত জাকির হোসেন ও তার মেয়ের জামাই রাকিব হোসেনের নেতৃত্বে এক দল স্থানীয় সন্ত্রাসী। পরে মামলা করবেনা এমন শর্তে সাদা কাগজে স্বাক্ষর রেখে ব্যবসায়িদের ছেড়েদেয় ওই সন্ত্রাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিবাগত রাত ১টায় সদর উপজেলার পোদ্দার বাজারে। পিটুনীর শিকার তারেক ওই বাজারের স্বর্ণকার পট্রির বনফুল সুইটমিট এর মালিক ও ফারুক একই বাজারের চায়ের দোকানদার।বর্তমানে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানদুটি বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। গণটিটুনীর শিকার ব্যবসায়ি তারেকের সারা শরীরে আঘাতের পাশাপাশি তার একটি হাত ভেঙ্গেগেছে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে ব্যবসায়িরা হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা পর্যন্ত নিতে সাহস পাচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ি ফারুক ও তারেকের স্বজনরা।
জানাযায়, শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ল²ীপুর সদর উপজেলার বশিকপুই ইউনিয়নের পোদ্দার বাজারস্থ স্বর্ণকার পট্রিতে অবস্থিত বনফুল সুইটস এ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান তার অনুগত জাকির সহ কয়েকজন লোক নিয়ে গল্পকরে এবং দুই দফা দই খায়। রাত ১টার দিকে তারেক তাদের কাছে দই বিক্রির টাকা চাইতেই জাকির হোসেন ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে তারেককে এলাপাথাড়ি কিলঘুষি লাাথি মারতে থাকে। এই ঘটনা শুনে তারেকের ভাই একই বাজারের চা দোকানদার ফারুক ছুটে এলে তাকেও মারধর করে। এর পরপরই জাকিরের মেয়ের জামাই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও চেয়রম্যান মাহফুজুর রহমানের ক্যাডার রাকিবের নেতৃত্বে কয়েকজন স্থানীয় সন্ত্রাসী ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যবসায়ি সহোদরকে বেদড়ক মারধর করে। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান উপস্থিত থাকলেও তিনি নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করেন বলে জানিয়েছেন আহত ব্যবসায়ি তারেক ফারুক সহ অন্য ব্যবসায়িরা।
পরে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা মারাত্বক আহত অবস্থায় ব্যবসায়ি তারেক ও ফারুকের কাছ থেকে মামলা করবেনা মর্মে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ফেলে রেখে যায়। আহত অবস্থায় ব্যবসায়িরা তারেক ও ফারুককে উদ্ধার করে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বর্তমানে তারা ইউনিয়নের বালাইশপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে বিনা চিকিৎসা অসুস্থ অবস্থায় রয়েছে। তারেক জানান, তার একটি হাত ভেঙ্গে গেলেও তার চিকিৎসা করা যাচ্ছেনা।
এ ব্যপারে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানকে মোবাইলে কল দিলে, সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে  এটা বাজারের  অভ্যন্তরীণ  বিষয়  বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে পোদ্দার বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক(এসআই) মো. ইখতার মিয়া জানান, এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটেছে তিনি জানেন না, এই প্রতিবেদকের কাছেই তিনি প্রথম শুনেছেন বলে জানান।


শেয়ার করুন