লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে কিশোরীকে ধর্ষনের ঘটনায় সালিশে বিচার না করে উল্টো অপবাদ দেয়ায় ওই কিশোরী আত্নহত্যা করার অভিযোগ উঠেছে।
এঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত রাকিব হোসেনকে গ্রেফতার করছে পুলিশ।
সোমবার সকালে কুমিল্লার লাকসাম এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে হেলাল উদ্দিন নামে আরো একজনকে গ্রেফতার করা হয়। এনিয়ে এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছে দুইজন। গ্রেফতারকৃত রাকিব হোসেন রামগতি উপজেলার পশ্চিম চরকোলাকোপা এলাকার মো. খবির হোসেনের ছেলে।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন বলেন, প্রধান অভিযুক্ত রাকিব হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মামলায় এখন পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, প্রধান অভিযুক্ত রাকিব হোসেনের সঙ্গে প্রায় ৭ মাস ধরে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এর জের ধরে ১ মার্চ রাতে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে রাকিব ধর্ষণ করে। ঘটনাটি কিশোরীর মা টের পেয়ে ঘরে ঢুকলে রাকিব হোসেন পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক ঘটনাটি ভুক্তভোগী পরিবার রাকিবের বাবা-মাকে জানায়। এতে তারা কাউকে কিছু জানাতে নিষেধ করে। কিন্তু পরদিন ঘটনাটি জানাজানি হয়। এতে রাকিকের পরিবার একটি সালিশি বৈঠকের আয়োজন করে। বৈঠকে ধর্ষণের ঘটনায় কোনো বিচার করা হয়নি। উল্টো সালিসদারগন কিশোরীকের অপবাদ দেয়। এরপর ৫দিন পর বৃহস্পতিবার সকালে রাকিবের সহযোগি হেলাল উদ্দিন বাড়িতে ঢুকে কিশোরীসহ তার মাকে চুল কেটে গ্রামে ঘুরানোর হুমকি দেয়। এটি সহ্য করতে না পেরে ঐইদিন দুপুরে কিশোরী আত্মহত্যা করে। ঘটনার পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে কিশোরীর মা বাদী হয়ে ১২জনকে আসামী করে রামগতি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
আরও পড়ুন
ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে লক্ষ্মীপুরে মহিলা দলের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
লক্ষ্মীপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় জেলা জামায়াতের আমীরসহ ৩জন আহত
নির্বাচন ও সংস্কার জরুরী, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান প্রয়োজন : এ্যানী