মুক্তিকন্ঠ

ভয়েস অফ ফ্রিডম ফাইটার ১৯৭১

ফেসবুকে পরিচয়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ্মীপুর চন্দ্রগঞ্জে তরুণীকে একাধিকবার ধর্ষণ

শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুর চন্দ্রগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে দফায় দফায় ধর্ষণ করে জাকির হোসেন জিদান (২৪) নামের এক তরুণ। এ সংক্রান্তে চন্দ্রগঞ্জ থানায় ৬জনকে এজাহার নামীয় আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফয়জুল আজিম।

রবিবার (৪মে) ভিকটিম লিজা আক্তার জুমা বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ভিকটিম লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন বশিকপুর ইউপির রামনগর গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেন এর মেয়ে।

মামলায় জাকির হোসেন জিদান, তার বাবা ইব্রাহিম হোসেন বাবুল(৫৫), তার মা কুলছুম বেগম(৫), ভাই রাকিব(৪০), সাকিব(২৩) ও বোন নুর নাহার(৩২)কে আসামী করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ ও তথ্য গোপন করার অপরাধে মামলা করা হয়।

এজাহার সূত্রে জানায়, দুই বছর আগে ভিকটিম লিজা আক্তার জুমার সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের জাকির হোসেন জিদান এর সাথে। পরিচয়ের সুবাদে জাকির বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। পরে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন মান্দারী বাজারস্থ ১নং আসামীর জাকির মটরস নামীয় দোকানে ভিকটিমকে একাধিকবার নিয়ে আসে। তখন আমাকে তার সাথে পালিয়ে বিয়ে করার জন্য জোর করতে থাকে, না হলে সে আত্নহত্যঅ করবে এবং আমাকে ফাঁসিয়ে দিবে বলে ধমক দেয়। এছাড়াও আমাকে বিয়ে করবে বলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখায়। এক পর্যায়ে গত ৮মাস আগে ভিকটিমকে বিবাহ করিবে বলিয়া আমাকে বাড়ি থেকে কক্সবাজার নিয়ে যায়, সেখানে অজ্ঞাত আবাসিক হোটেলে ভিকটিমকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ২দিন একাধিকবার ধর্ষণ করে। ভিকটিম চিৎকার চেঁচামেচি করতে চাইলে বাড়ি থেকে পালানোর বিষয়ে সবাইকে বলে দিবে বলে ভয় দেখায়। 

এরপর কাগজ পত্র ঠিক করবে বলে পাশ্ববর্তী নোয়াখালী জেলার চৌমুহনীতে আমাকে নিয়ে যায়। কাগজ পত্র ঠিক করতে সময় লাগবে বলিয়া পুনরায় আবার একটি অজ্ঞাত হোটেলে ভিকটিমকে স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। অতপর ইদুল ফিতর ২০২৫ এর পরে কাজগপত্র ঠিক হয়েছে বলে আমাকে পুনরায় কক্সবাজার নিয়ে যায় এবং সেখানে আমাকে অজ্ঞাত হোটেলে রেখে ৪দিন জোর পূর্বক বার বার ধর্ষণ করে। আমি চিৎকার করতে চাইলে আমাকে বিয়ে করবে না এবং বিষয়টি সবাইকে জানিয়ে দিবে বলে আমাকে হুমকি ধমকি দিতে থাকে।

পরবর্তীতে গত (৩০ এপ্রিল) মান্দারী ইউপির রতনপুর সাকিনের মোস্তফার বাড়িতে ভিকটিম জুমাকে স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে রেখে পুনরায় আবার একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে বিবাদী জাকির ভিকটিমকে তার সাথে আর কোন যোগাযোগ না করার জন্য বলে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বিষয়টি ভিকটিমের পরিবার জানলে জাকিরের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে তারা ভিকটিমের পরিবারের সাথে খুবই খারাপ ব্যবহার করে।

এ বিষয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফয়জুল আজীম বলেন, ভিকটিমের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা মামলা দায়ের করি এবং ভিকটিমকে ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠাই। আসামীদের ধরার বিষয়ে অভিযান চলমান।


শেয়ার করুন