মুক্তিকন্ঠ ডেস্কঃ
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারে সরকারের কয়েক কোটি টাকার খাসজমি জবর দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালী চক্র।
এই চক্রটি বাজারের সরকারি খাস খতিয়ান ভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা খাল, সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি, পানি উন্নয়ণ বোর্ডের জমি দখল করে স্থায়ী দোকান পাট নির্মাণ করে তাতে নিজে অথবা ভাড়া দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ উক্ত দখল হস্তান্তর করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে এই দখল ও বাণিজ্য অব্যহত থাকলেও প্রশাসনের নিরব ভুমিকায় দখলদারদের নৈরাজ্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানাগেছে। সড়ক ও জনপথ,পানি উন্নয়ণ বোর্ড ও সরকারি খাস জমি একের পর এক স্থায়ী ভাবে দখল করে নেওয়ায় বর্তমানে এ বাজারে আগত ক্রেতা বিক্রেতাদের জন্য সরকারি ভাবে গণশৌচাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও স্থানের অভাবে তা বাস্তবায়ণ করা সম্ভব হয়না বলে জানাগেছে। ফলে এ বাজারে আগত ক্রেতা বিক্রেতা এবং বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত কারি যাত্রী সাধারণ চরম দূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে বলে জানাগেছে। শুধু তাই নয় অবৈধ দখলের কারণে এ বাজারে আগুন লাগলেও খাল বা পুকুর থেকে পানি নিয়ে আগুন নিভানো যায়না বলে জানিয়েছেন সাধারণ ব্যবসায়িরা।
সম্প্রতি চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিম বাজারে অগ্নীকান্ডের ঘটনা ঘটলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী দ্রুত ঘটনাস্থলে এসেও স্থানের অভাবে খাল থেকে পানি তুলতে পারেনি। প্রায় আধাঘন্টা চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রতাপ গঞ্জ স্কুলের গেইটের তালা ভেঙ্গে পুকুর থেকে পানি নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আর এ সময়ের মধ্যে অধিকাংশ দোকান পুড়ে যায়। অথচ আগুন লাগা দোকান গুলো বাজারের পাশদিয়ে বয়ে যাওয়া মহেন্দ্র খালের উপরই নির্মাণ করা হয়েছিল। পুড়ে যাওয়া দোকন গুলো আবারো একই কায়দায় অবৈধ ভাবে নির্মাণ করে ভাড়া ও ব্যবসার কাজ চলছে।
তথ্য অনুসন্ধান কালে জানাযায়, গত ৫/৬ বছর আগে সদর উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান এই বাজারের সরকারি জমি গুলো অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হলেও পরবতীতে আবারো তা আগের ন্যায় দখল করে নেওয়া হয়।
সম্প্রতি চন্দ্রগঞ্জ বাজারের গোস্ত দোকান এলাকায় সড়ক বিভাগের জমিতে দখল করে গড়ে তোলা একটি দোকান ঘর ৪০ লাখ টাকায় হস্তান্তর করা হয় বলে জানাগেছে।
সম্প্রতি চন্দ্রগঞ্জ বড় পোল এর পশ্চিম পার্শ্বে সড়ক ও পানি উন্নয়ণ বোর্ডর জমি দখল করে স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতা স্থায়ী ভাবে পাকা ঘর নির্মাণ করে দখলে নিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, লক্ষ্মীপুর নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের দক্ষিণ পার্শ্ব চন্দ্রগঞ্জ বাজার এলাকায় সরকারি খাস জমিতে ঝুপড়ি ঘর তুলে বসবাস করতে থাকা বেদে পরিবার ও চিহ্নমুল মানুষদের ভয় ভীতি প্রদর্শন করে উচ্ছেদ করে সে সব জমি দখল করে নিয়েছে প্রভাবশালীরা। তাদের দখল থেকে মুক্তি পায়নি স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর সৈনিক মুক্তযোদ্ধা নুরা মামু ও তার স্ত্রীর কবরও।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানাযায়, সরকারি এই খাস জমি দখলকারি প্রায় ১৫০ জন মিলে চন্দ্রগঞ্জ ক্ষুদ্র সমবায় সমিতি নামে একটি সংগঠন গড়ে তুলে সংঘবদ্ধ হন।তারা প্রতিটি দখলদার এ সমিতিতে ৫ হাজার টাকা করে একটি ফান্ড তৈরী করেন লক্ষ্মীপুরের সংশ্লীষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করা জন্য। (চলবে)
আরও পড়ুন
লক্ষ্মীপুরে সিঁদ কেটে ঘরে ঢুকে নারীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার-২
লক্ষ্মীপেুরে ৩৭জন আইনজীবিকে সরকারী আইন কর্মকর্তা-সরকারী কৌঁসুলি(জিপি)সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ
লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের আমির রুহুল আমিন ভূইয়ার শপথ গ্রহন