মুক্তিকন্ঠ

ভয়েস অফ ফ্রিডম ফাইটার ১৯৭১

শীঘ্রই চন্দ্রগঞ্জ বাজারে রাস্তার পাশের বালু বিক্রয় বন্ধ হবে : এসিল্যান্ড

সড়কের পাশে বালু লোডের দৃশ্য

শেয়ার করুন

মুক্তিকন্ঠ ডেস্কঃ

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে মহাসড়কের পাশে বালু রেখে বিক্রয় করতে দেখা যায়। সরেজমিনে গিয়ে এ বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায়।

লক্ষ্মীপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে পূর্ব দিকে চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিম বাজার পর্যন্ত প্রায় মহাসড়কের উভয় পাশে অবস্থিত বাজার গুলোতে রাস্তার দুই পাশে অনেক উঁচু করে বালু বিক্রয় করতে দেখা যায় । স্থানীয় চেয়ারম্যান বা গন্যমান্যরা অনেক নিষেধ করলেও তারা এই বিষয়ে কোন কর্ণপাত করছে বলে জানা যায়।

এদিকে রাস্তার পাশে বালু রাখার কারনে স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের নানা রকম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায় আমরা স্কুলে যেতে আমাদের অনেক সমস্যা হয়, কোন দ্রুতগামী গাড়ি গেলে চোখে বালু এসে পড়ে। একারনে আমরা চোখের নানা সমস্যায় ভূগতেছি। বাজার গুলোর অন্যান্য ব্যবসীরাও এই বালুর জন্য বিব্রত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানায় বালুর জন্য নানা রকমের সমস্যায় আছি আমরা। কয়েক মিনিট পর পর পরিষ্কার করার পরও আবার নোংরা হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পথচারী জানান, ইজারাদারের জন্যই এই বালু রাস্তার পাশ থেকে সরানো হচ্ছে না। কারন প্রতিটি পিকআপ লোড-আনলোডের জন্য ইজারাদাকে ৩০টাকা, বড় ট্রাক ১০০টাকা, কাভার ভ্যান ২০০টাকা করে দিতে হচ্ছে। এছাড়াও যারা বালু দোকানদার তারা প্রতি পিকআপ মাসে ১০০০টাকা করে দিতে হচ্ছে।

এবিষয়ে একজন প্রতিবেদককে প্রশ্ন করেন যে, সিএন্ডবি এর রাস্তার জায়গা থেকে কি ইজারাদার খাজনা বা টোল আদায় করতে পারবে?? খাজনাতো শুধু তোহা বাজার থেকে আদায় করার কথা।

গত ১০ মার্চ ২০২২ ইং তারিখে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি এর নির্দেশে একটি সরেজমিন তদন্ত করে তদন্ত রিপোর্ট প্রেরণ করেন। যেখানে ঢাকা-রায়পুর মহাসড়কের পাশে বালু রেখে বিক্রয় করার সত্যতা উল্লেখ করেন এবং স্কুল, কলেজগামী শিক্ষার্থীদের নানা সমস্যার কথা উল্লেখ করেন। এই ভূমি কর্মকর্তা বালু ব্যবসায়ীদের রাস্তার পার্শ্ব থেকে বালু সরিয়ে নিতে অনুরোধও করেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ব্যবসায়ী কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বালু সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে।

এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অমিত কুমার রায় জানান, এ বিষয়ে আমি অনেক আগেই বলে দিয়েছি বালু সরিয়ে নিতে। না সরানো হলে শীঘ্রই মহাসড়কের আশেপাশে বালু রাখা ও বিক্রয় বন্ধ করা হবে।


শেয়ার করুন