April 24, 2024

মুক্তিকন্ঠ

ভয়েস অফ ফ্রিডম ফাইটার ১৯৭১

চন্দ্রগঞ্জে সরকারী সম্পত্তি গণমিলনায়তন (পাবলিক হল) দখলের পায়তারা

চন্দ্রগঞ্জ বাজার গণমিলনায়তনে দুটি সাইনবোর্ড ও তালা ঝুলানোর দৃশ্য।

শেয়ার করুন

মুক্তিকন্ঠ ডেস্কঃ

চন্দ্রগঞ্জে সরকারী সম্পত্তি গণমিলনায়তন ব্যক্তি দখলের পায়তারা করছে একাধিক সংগঠন।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারে সর্বসাধারনের জন্য উন্মুক্ত গণমিলনায়তন (পাবলিক হল) একটি কুচক্তি মহল ও একাধিক সংগঠন নিজেদের দখলে নিয়ে সরকারী সম্পত্তি ভোগ করার পায়তারা করছে। সরেজমিনে ও চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

সম্প্রতি লক্ষ করা যায় চন্দ্রগঞ্জে দুটি সমিতির আবির্ভাব হয়, একটি হল‘ চন্দ্রগঞ্জ বণিক সমিতি’ অপরটি হল ‘চন্দ্রগঞ্জ বাজার বণিক কল্যাণ সমিতি’। দুটি সমিতিই স্বতন্ত্র ও শ্রম অধিদপ্তর থেকে রেজিষ্টিকৃত ২০১১ সালে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুটি সমিতিই গণমিলনায়তনকে তাদের সমিতির ব্যক্তিগত কার্যালয় বলে সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেয় মূল ফটকের সামনে ও উপরে। বিষয়টি দৃষ্টি এড়ায়নি চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের দুই বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও চন্দ্রগঞ্জ বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নুরুল আমিনের। তিনি দুই সমিতির শীর্ষ নেতাদের সমিতির সাইন বোর্ড খুলে ফেলার জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেন, কিন্তু বিষয়টি নিয়ে তারা কোন কর্ণপাত করেনি। পরবর্তীতে অদ্য চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরকারী সম্পত্তি দখল থেকে মুক্ত করতে গণমিলনায়তনে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে তালা দিয়ে দেন এবং যখন যার সভা বা অনুষ্ঠান করার প্রয়োজন হবে তখন তারা সব ধরনের বৈধ সভা বা সমাবেশ করতে পারবে।

এদিকে চেয়ারম্যান তালা দেওয়ার পরপরই চন্দ্রগঞ্জ বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি এম. ছাবির আহম্মদ গণমিলনায়তনে আরেকটি তালা লাগিয়ে দেন। চন্দ্রগঞ্জ বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি ছাবির আহম্মদ জানান, ‘একটি পক্ষ চেয়ারম্যানের লাগানো তালা ভাঙ্গতে গেলে আমি আরেকটি তালা লাগিয়ে দিই।’

এ বিষয়ে চন্দ্রগঞ্জ বণিক সমিতির সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘যদি সরকারী সম্পত্তি একটি সমিতি ব্যবহার করে তাহলে আমরা কেন পারবো না? আমরা তাদের পরে আমাদের সাইন বোর্ড লাগিয়েছি।’

এ বিষয়ে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও চন্দ্রগঞ্জ বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নুরুল আমিনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি উল্টো এই প্রতিবেদককেই প্রশ্ন করেন ‘যদি কোন সরকারী সম্পত্তি একাধিক ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান দাবী করে তাদের নিজস্ব কার্যালয় হিসেবে তাহলে এখানে কি করা উচিত?’ তখন এই প্রতিবেদক কোন উত্তর না দিয়ে বলেন আপনার বক্তব্য কি? চেয়ারম্যান বলেন, ‘গণমিলনায়তন সরকারী সম্পত্তি, এটা কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটা সবার জন্য উন্মুক্ত। এখন কেউ যদি এটা তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করেন তাহলে আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে এটা করতে দিতে পারি না। তাই আমি সরকারী সম্পত্তি অবৈধ দখল থেকে রক্ষার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বে নিয়ে আসি। এখন যখন যার প্রয়োজন হবে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চাবি নিয়ে তাদের বৈধ সভা-সমাবেশ বা সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান পরিচালনা করবে, এতে আমার কোন আপত্তি থাকবেনা।


শেয়ার করুন

আরও পড়তে পারেন..