মুক্তিকন্ঠ

ভয়েস অফ ফ্রিডম ফাইটার ১৯৭১

লক্ষ্মীপুরে গুলিবিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা সজিবের মৃত্যু, তাৎক্ষণিক সড়কে বিক্ষোভ

সড়কে গাছ ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ। ইনসেটে নিহত সজীবের ছবি।

শেয়ার করুন

মুক্তিকন্ঠ ডেস্কঃ
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের পাঁচপাড়ায় গত শুক্রবার দিবাগত রাতে প্রতিপক্ষের গুলিতে আহত ছাত্রলীগ নেতা এম সজিব  মারাগেছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটায়  চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজিব ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে  মারা যান বলে দলীয় এবং পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সজিবের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে রাত ৩টা থেকে  চন্দ্রগঞ্জ বাজারে নেতা কর্মীরা উপস্থিত হয়ে ভীড় জমায়। এসময় উপস্থিত সকল নেতা কর্মী বিতর্কিত স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু’র সহ সকল আসামীর ফাঁসির দাবী করে। এছাড়াও তারা রায়পুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহসড়ক অবরোধ করে গাছ ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে। এসময় দীর্ঘ যানযটের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ এসে উপস্থিত নেতা কর্মীদের সাথে কথা বলে সড়ক থেকে গাছ ও টায়ার সরিয়ে যান চলাচল অব্যাহত রাখে। এসময় প্রায় ২কি.মি. দীর্ঘ যানযটের সৃষ্টি হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে চন্দ্রগঞ্জ থানা আ’লীগের সহ-সভাপতি এম. ছাবির আহম্মদ জানান, “আজ সকাল ১০টায় সকল নেতা কর্মীর উপস্থিতিতে বিক্ষোভ মিছিল হবে এবং ঐ সময় সজীবের জানাযার সময় নির্ধারন করা হবে। এসময় লক্ষ্মীপুর থেকে ছুটে আসেন লক্ষ্মীপুর জেলা ছা্ত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন ভূইয়া।
স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে  ফেরার পথে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্ধের জেরধরে  লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পাঁচপাড়া গ্রামের জৈদের পুকুরপাড় এলাকায়  সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা- কর্মীদের  গুলিতে শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ থানা সেচছাসেবক লীগের আহবায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুর গ্রুপ অতর্কিত গুলি চালিয়ে সজিব সহ ছয়জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে আহতকরে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে মাথায়গুলিবিদ্দ হয়ে গুরুতর আহত মো. সজিব সহ ৪ জনকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে সজিবের মাথায় অস্ত্রপচার করা হলেও তার আরজ্ঞান ফিরেনি। ওই হাসপাতালের  আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজিবকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে।
মো. সজিব সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার দ্বিতীয়পুত্র। সে কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র এবং ছাত্র নেতা ছিলেন। সোমবার দিবাগত রাতে   সজিবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় থানা সেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও সদস্য সচিব তাজু ভুঁইয়া সহ ১১জনের নাম উল্লেখ করে ৩১ জনের বিরুদ্ধে  একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাজু ভূঁইয়া সহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করেছে।

শেয়ার করুন

আরও পড়তে পারেন..