May 9, 2024

মুক্তিকন্ঠ

ভয়েস অফ ফ্রিডম ফাইটার ১৯৭১

লক্ষ্মীপুরে ইউপি মেম্বার ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি কর্তৃক নিজ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ

অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম মেম্বার

শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা এলাকায় ওয়ার্ড  আওয়ামীগের সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম  কর্তৃক ১৪ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন ৯ নং উত্তর জয়পুর ইউনিয়ন এর ৩ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ও ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীরীগের সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম ওরপে রতন মেম্বার (৫০) তার ১ম স্ত্রী বেঁচে থাকালীন সময় হতে তারই ঔরসজাত ১৪ বছরের মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণ করে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম মেম্বার

অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম মেম্বারঅভিযোগ পাওয়া গেছে তার ১ম স্ত্রী জোলেখা বেগম (৪০) বেঁচে থাকাকালীন ধর্ষণের ঘটনা তার হাতে ধরা পড়ার পর থেকে তাদের সংসারে কলহ লেগেই থাকতো। এ বিষয় নিয়ে তার স্ত্রী প্রতিবাদ করলে তাকে অমানুষিক নির্যাতন এবং প্রচন্ড মারধর করা হতো। শেষের দিকে তার স্ত্রী আর সহ্য করতে না পেরে গত বছর আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেন অভিযুক্তের ১ম স্ত্রী জোলেখা বেগম। 

অভিযুক্ত মেম্বারের স্ত্রীর মৃত্যুর পর থেকে রতন মেম্বার তার মেয়েকে নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছেন বলে ভিকটিমের একটি অডিও বার্তা থেকে জানা যায়। এ বিষয় কাউকে জানালে তাকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয়। লোকলজ্জা ও রতন মেম্বারের ভয়ে এতো দিন কারো কাছে সে ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ করতে সাহস পায়নি। বিভিন্ন ব্যাক্তির কাছে বাবার নামে মামলা করার জন্য গেলেও কেউ তাকে সাহায্য করেনি বরং উল্টা তার বাবার কাছে মামলার বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে মেয়েটি বাবার কাছে ধর্ষিত হয়ে অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়েছে বলে স্থানীয় ভাবে জানা যায়।

সর্বশেষ তার দ্বিতীয় স্ত্রী ফাতেমার কাছে ধরা পড়ার পরেও একাধিকবার ধর্ষণ করে। অতপর মেয়ে আর সহ্য করতে না পেরে এই নেক্কার জনক ঘটনা এলাকাবাসী ও আশেপাশের মানুষের কাছে প্রকাশ করতে থাকে । 

এলাকাবাসী জানার পর বিষয়টি স্থানীয় খোকন নামের জৈনক ব্যক্তি লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মোঃ আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বরাবর একটি চিঠি পাঠান ভূক্তভোগী মেয়েটি ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য। একই চিঠির অনুলিপি লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাসহ অন্যান্য প্রশাসনিক দপ্তরে প্রেরণ করা হয়।

এ ঘটনা প্রকাশ হলে রতন মেম্বার ঘটনা ধামাচাপা দিতে মেয়েকে ও তার ২য় স্ত্রীকে ১ সপ্তাহ যাবত এলাকা থেকে অনত্র সরিয়ে রেখেছেন। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী জানায় এর আগেও একাধিকবার নারীসহ রতন মেম্বার ধরা পড়েন এবং এলাকায় জনপ্রতিনিধি হয়েও প্রভাবশালীদের প্রভাব খাটিয়ে মদ জুয়ার আসর বসানোসহ নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে। তাই এ ঘটনায় লম্পট বাবার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন এবং একই সাথে মা হারা অসহায় মেয়ের নিরাপত্তা চায় স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা।

অভিযুক্ত মেম্বার তার উপর আনীত অভিযোগটি অস্বীকার করেন এবং এটি তার সাথে ষড়যন্ত্র করে করা হচ্ছে বলে জানান। অভিযুক্ত মোঃ সিরাজুল ইসলাম মেম্বার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের  রাজারামঘোষ গ্রামের ধনগাজী মিয়াজী বাড়ির মৃত নুরুজ্জামানের ছেলে।

গতকাল (২৯ সেপ্টেম্বর) বুধবার রাতে অভিযুক্ত মোঃ সিরাজুল ইসলাম মেম্বারকে আটক করে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ। চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একে ফজলুল হক জানান ঘটনা জানার পরই অভিযুক্ত মেম্বারকে ও তার মেয়েকে ২য় স্ত্রীসহ থানায় আনা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।


শেয়ার করুন