মুক্তিকন্ঠ

ভয়েস অফ ফ্রিডম ফাইটার ১৯৭১

লক্ষ্মীপুরে দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত নুরু টেইলারের জানাযা সম্পন্ন

জানাযার আগের মূহুর্ত

শেয়ার করুন

মুক্তিকন্ঠ ডেস্কঃ

লক্ষ্মীপুরে দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নুর আলম ওরপে নুরু টেইলারের জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার সময় নিহত নুরু টেইলারের বাড়িতে জানাযা নামায অনুষ্ঠিত হয়।  তখন পরিবারের সদস্যদের কান্নায় বাড়ির পরিবেশ দুঃখে ভারি হয়ে উঠে। এসময় দলমত নির্বিশেষে কয়েকশত লোক উপস্থিত হয জানাযায়।

নিহত নুরু টেইলারের জানাযার নামাযে বিএনপি ও জামায়াতের অনেক নেতাকর্মীকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। উপস্থিত নেতাকর্মীদের বক্তব্যে চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মো. বেলায়েত হোসেন বলেন,  অপরাধী যেই হোক যেই দলেরই হোক তাকে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর নির্দেশে আমরা এখানে এসেছি, যারা নুরু টেইলারকে মেরেছে তাদের সাথে আমাদের দলের কোন সম্পর্ক নাই।

নিহতের বাড়ি যেতে এখনো অনেক জায়গায় বন্যার পানি ছিল। তারপরেও জানাযার নামাযে এত মানুষের উপস্থিতি দেখে এলাকাবাসী অবাক হয়। জানায়ার নামাযে উপস্থিত ছিলেন, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মো. বেলায়েত হোসেন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম কালা মুন্সী, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি  আলী করিম, জেলা শ্রমিকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সদস্য আব্দুল হান্নান, এলায়েত উল্যা, ওমর খাঁন,  মোল্লা মাসুদ, সাইফ উদ্দিন জাবেদ, ইয়াকুব মুন্না রিপন, নাজমুল হোসেন কাউছার, ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আব্দুল হান্নান, সেক্রেটারী মো. মাহফুজসহ কয়েক’শ এলাকাবাসী।

এদিকে বিকাল ৪টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে প্রায় বিকেল ৫টা ৩০মি. সময় লাশ নিহতের বাড়িতে এসে পৌছে।

প্রগঙ্গত, রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। নিহত নুর আলম সদর উপজেলার পাঁচপাড়া গ্রামের গোয়াল বাড়ির কালামিয়ার ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নুর আলম চন্দ্রগঞ্জের পাঁচপাড়া ২নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন। রাজনীতির পাশপাাশি তিনি টেইলারের কাজ করতেন। ৫ আগষ্টের পর সরকার পতনের পর থেকে নুর আলম ব্যবসা বন্ধ করে বাড়িতে আত্নগোপনে ছিল। রোববার রাত ৯টার দিকে আনোয়ার হোসেন নিকু ও দামা কালুর ভাই খোকনসহ ১৫/২০জনের একদল সন্ত্রাসী নুর আলমের বাড়িতে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে পিটিয়ে নুর আলমকে গুরুতর আহত করে। এসময় বাধা দিতে গেলে স্ত্রী-সন্তানকে পিটিয়ে আহত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় নুর আলমকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

নিহতের ছেলে আরিফ হোসেন বলেন, বিএনপির সমর্থক স্থানীয় সন্ত্রাসী আনোয়ার হোসেন নিকু ও দামা কালুর ভাই খোকনসহ ১৫/২০জনের একদল সন্ত্রাসী রাত ৯টার দিকে পাঁচপাড়ার বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় ঘরে হামলা চালায়। এতে আমার বাবা নুর আলমকে পিটিয়ে হত্যা করে। বাধা দিতে গেলে তাদের ওপর হামলা করে দুইজনকে আহত করে। আওয়ামীলীগের রাজনীতি করার কারনে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় বলে দাবী করেন নিহতের ছেলে আরিফ হোসেন ও চাচা শাহ আলম। ৫ আগষ্টের পর থেকে নুর আলম বাড়িতে আত্নগোপনে ছিলেন। পাশপাশি পাচঁপাড়া এলাকায় দোকান দিয়ে টেইলারের কাজ করতো বলে দাবী করেন তারা।

সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার. ডা. জয়নাল আবেদিন বলেন, নুর আলম হাসপাতালে আনার আগে মারা গেছে। তবে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে পিটিয়ে হত্যা করাপ হয় বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানার পুৃলিশ পরির্দশক(তদন্ত) মো. মফিজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের শেষে জানাযার পরে দাফন করা হয়েছে। তবে এই হত্যাকান্ডের সাথে  জড়িতদের  গ্রেফতারের অভিযান চলছে বলেও জানান তিনি।


শেয়ার করুন

আরও পড়তে পারেন..