April 29, 2024

মুক্তিকন্ঠ

ভয়েস অফ ফ্রিডম ফাইটার ১৯৭১

লক্ষ্মীপুরে চন্দ্রগঞ্জে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সরকারী জমি দখল

অবৈধ দখল ও দখলদারদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার হোসেন

শেয়ার করুন

মুক্তিকন্ঠ ডেস্কঃ

লক্ষ্মীপুর জেলার সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোটি টাকা মুল্যমানের সরকারি সম্পত্তি জবর দখল করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

এ জমি রক্ষায় জমিটির লীজ গ্রহীতাগন উচ্চ আদালতের আদেশের কপি নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন ভুমি অফিস, উপজেলা ভুমি অফিস ও জেলা প্রশাসনের নিকট বার বার ধর্ণা দিলেও তারা কোন সহযোগীতা করছেনা বলে বৃহস্পতিবার চন্দ্রগঞ্জ বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ইজারা গ্রহীতা আনোয়ার হোসেন। 

দখলকৃত সরকারের কোটি টাকার সম্পদ

সংবাদ সম্মেলনে ইজারা গ্রহীতাদের পক্ষে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার বটগ্রাম গ্রামের জয়নাল আবদীনের ছেলে আনোয়ার হোসেন তার লিখিত বক্তব্যে জানান, “চন্দ্রগঞ্জ মাইজ বাজারস্থ দেওপাড়া মৌজার অধীন সাবেক ১৭৭৪ ও ১৭৭৫ দাগের জমির মালিক ও দখলকার তারা। এই জমির সাথে থাকা ১৭৭৩ দাগের ১৫ শতাংশ জমির মধ্যে ১০ শতাংশ তাদের মালিকানাধীন ও বাকী ৫ শতাংশ জমি তারা দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে লীজ নিয়ে ভোগ দখল করে আসছেন। সম্প্রতি লীজকৃত জমিটির লীজ নবায়ন না করায় তারা জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে হাইকের্টে বিচারাধীন আছে। হাইকোর্ট থেকে জমিটিতে স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করার কারণে লীজ গ্রহীতা ও মামলার বাদী পক্ষ উক্ত জমিতে তাদের স্থাপনা সমুহের নির্মাণ কাজ অসম্পূর্ণ রাখে। সম্প্রতি চন্দ্রগঞ্জ বাজারের একটি চক্র পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের ছৈয়দ আহাম্মদের পুত্র আলী হোসেন, পূর্ব আলাদাদপুর গ্রামের আব্দুর রবের পুত্র সহিদুল ইসলাম এবং বেগমগঞ্জের মোহাম্মদপুর গ্রামের রেজাউল হকের পুত্র আলাউদ্দিন সহ কয়েকজন উক্ত জমিতে থাকা ইজারাদারের নির্মাণাধীন স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলে দিয়ে তারা বে আইনী ভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ করে যাচ্ছে। ফলে সরকারের কোটি টাকা মুল্যমানের জমিটি বেদখল হয়ে যাচ্ছে।” এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহিদুল ইসলাম জানান, “আমরা সরকারের কাছে উক্ত জমি লীজ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছি।” অপর দিকে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, আমি দখলকারিদের বারবার মৌখিক ভাবে বাধা প্রদান করেছি। কিন্তু তারা তারা শুনছেনা। আমি উপজেলা ভুমি কর্মকর্তাকে মৌখিকভাবে এবং লিখিতভাবে অবহিত করেছি। তিনি তাদের ডেকে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ রাখার জন্য বললেও তারা তা মানছেনা।” এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মোঃ মকবুল হোসেন জানান, “ভবন নির্মাণকারিদের ডেকে এনে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি।”

এ দিকে জমিটির ইজারা গ্রহীতাদের পক্ষে আনোয়ার হোসেন সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন সরকারী কর্মকর্তাদের শেল্টারেই জবর দখলকারিরা জমিটি দখল করে নিচ্ছেন। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা তারা আমলে নিচ্ছেনা। তাই আমরা বিষয়টি উচ্চ আদালতের নজরে আনবো।


শেয়ার করুন

আরও পড়তে পারেন..